বগুড়া-রংপুর মহাসড়ক অবরোধ বিএনপির, পুলিশের সঙ্গে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া

বগুড়া সদর উপজেলার দক্ষিণ বাঘোপাড়া থেকে গোকুল পর্যন্ত প্রায় ২ কিলোমিটার রাস্তা অবরোধ করে স্থানীয় বিএনপি। ছবি: স্টার

সকাল-সন্ধ্যা বিএনপির ডাকা হরতালে বগুড়ার সদর উপজেলায় বগুড়া-রংপুর মহাসড়ক অবরোধ করে রেখেছে দলটির নেতাকর্মীরা।

আজ রোববার সকাল থেকে উপজেলার দক্ষিণ বাঘোপাড়া থেকে গোকুল পর্যন্ত প্রায় ২ কিলোমিটার রাস্তা অবরোধ করে স্থানীয় বিএনপি।

এ সময় রোগী বহনকারী অ্যাম্বুলেন্স ছাড়া আর অন্য কোনো ধরনের যানবাহন চলাচল করতে দেওয়া হয়নি এ মহাসড়কে। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন বগুড়া শহরে আসা লোকজন।

সকাল ১০টার দিকে গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ থেকে অটোরিকশায় বাঘোপাড়া এসেছেন রফিকুল ইসলাম (৩৮)। সেখানে বিএনপির নেতাকর্মীরা তাকে নামিয়ে দিয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।

রফিকুল দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'বাস বন্ধ, তাই অটোতে প্রথমে বগুড়ার মোকামতলা পর্যন্ত আসি। এরপর রিকশা পাল্টে মহাস্থান আসি। মহাস্থান থেকে মাটিডালি পর্যন্ত যাওয়ার জন্য ভ্যানে চড়ি। কিন্তু বাঘোপাড়া এসে দেখি শতশত বিএনপির লোকজন মহাসড়কে। তারা আমাদের গাড়ি থেকে নামিয়ে দেয়।'

সেখানে ছবি তোলার সময় বিএনপির নেতাকর্মীরা এই সংবাদদাতার ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে।

বিএনপি ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা-ধাওয়া। ছবি: সংগৃহীত

সকাল সাড়ে ১১ টায় বাঘোপাড়া এবং গোকুল এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, রাস্তার পাশের দোকানগুলোতে বিএনপির নেতাকর্মীরা অবস্থান নিয়েছেন। প্রায় ৫০ জন কর্মী ভ্যানগাড়ি থেকে যাত্রীদের নামিয়ে দিচ্ছেন।

রিকশাচালক আজাদ ডেইলি স্টারকে বলেন, 'সকাল থেকেই এখানে বিএনপির নেতাকর্মীরা রাস্তা অবরোধ করে রেখেছে। কাউকে যেতে দিচ্ছে না। পুলিশের টহল গাড়ি এলে তারা গ্রামের ভেতর ঢুকছেন। পরে আবার রাস্তা অবরোধ করে রাখছেন।'

জানতে চাইলে বগুড়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইহান অলিউল্লাহ দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমাদের ডিবির একটি টিম উপশহর ও ফুলবাড়ীর আরও একটি টিম ঘটনাস্থলে যাচ্ছে, যেন যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।'

পুলিশ-বিএনপি-আওয়ামী লীগ ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া

এদিকে সকাল সাড়ে ৮টার পর বগুড়া নবাববাড়ি রোডে জেলা বিএনপির কার্যালয়ে নেতাকর্মীরা অবস্থান নেন। এক পর্যায়ে তারা মিছিল নিয়ে সাতমাথার দিকে যাওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশ বাধা দেয়। 
সেসময় পুলিশ ও বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা-ধাওয়া হয়।

জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার স্নিগ্ধ আকতার ডেইলি স্টারকে জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ কয়েক রাউন্ড রাবার বুলেট ছোড়ে।

পরে বিএনপি ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মধ্যেও বেশ কয়েকবার ধাওয়া-পাল্টা হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ।

বগুড়া জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নূরে আলম সিদ্দিকী রিগ্যান ডেইলি স্টারকে বলেন, 'সকালে পুলিশ আমাদের মিছিলে বাধা দেয়, রাবার বুলেট ছোড়ে। পরে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে আমাদের ৪-৫ বার ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়। এতে আমাদের ৫-৬ জন নেতাকর্মী আহত হন।'

Comments

The Daily Star  | English

Sagar-Runi murders: HC grants 6 more months to taskforce to end probe

He said the documents are currently being recovered, which is why additional time is required to complete the investigation

12m ago