দফায় দফায় সংঘর্ষে রণক্ষেত্র কাকরাইল-পল্টন এলাকা
বিএনপি ও পুলিশের মধ্যে প্রায় ২ ঘণ্টা ধরে দফায় দফায় সংঘর্ষে রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে রাজধানীর কাকরাইল ও পুরান পল্টন এলাকা। বেশ কয়েকটি স্থানে আগুন দেওয়া হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সাউন্ড গ্রেনেড, টিয়ারশেল ও গুলি ছুড়েছে পুলিশ।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকাল সাড়ে ১১টার আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা একটি পিকআপ ট্রাকে করে সমাবেশে যোগ দিতে বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটের দিকে যাচ্ছিলেন। কাকরাইল মোড় থেকে আরামবাগ পর্যন্ত সড়কে আগে থেকেই ক্যাম্প করে ছিলেন বিএনপি নেতাকর্মীরা। আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা কাকরাইল এলে বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়।
আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষের পর মোড়ে কয়েকশ বিএনপি কর্মী জড়ো হন।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত দ্য ডেইলি স্টারের সংবাদদাতা জানান, দুপুর ১টার দিকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাদের ছত্রভঙ্গ করতে গেলে বিএনপি নেতাকর্মীরা পাল্টা ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে। পরে কাকরাইল মসজিদের কাছে পুলিশ ও বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার এক পর্যায়ে প্রধান বিচারপতির বাড়ির সামনের রাস্তায় সাউন্ড গ্রেনেড, টিয়ারশেল ও গুলি ছোড়ে পুলিশ। পরে তা নাইটিংগেল মোড়ে ছড়িয়ে পড়ে।
এসময় কাকরাইল চার্চের কাছে একটি পুলিশ বক্সে অগ্নিসংযোগ ও আরেকটি পুলিশ বক্স ভাঙচুর করা হয়। বেলা ৩টার দিকে পুলিশ নাইটিংগেল মোড়ে অবস্থান নেয়। এসময় নয়াপল্টন ও শান্তিনগরের দিকে সাউন্ড গ্রেনেড ও টিয়ার শেল ছোড়া হয়। এ পর্যায়ে নয়াপল্টন ও শান্তিনগরের দিক থেকে বিএনপির কর্মীরা ইটপাটকেল ছুড়লে পুলিশ ও বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে আবার ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
পুলিশের ধাওয়ায় বিজয়নগর পানির ট্যাংক এলাকা থেকেও বিএনপির লোকজন সরে যায়। বিকেল ৩টার দিকে পুরান পল্টনে পুলিশ অবস্থান নেয়। সেসময় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা পুলিশের সঙ্গে যোগ দিয়ে বিএনপি নেতাকর্মীদের ধাওয়া দিয়ে সেখান থেকে সরানোর চেষ্টা করে।
ঘটনাস্থল থেকে দ্য ডেইলি স্টারের প্রতিবেদক জানান, দুপুর ২টার দিকে নাইটিংগেল মোড়ে বিজিবি সদস্যদের অবস্থান করতে দেখা গেছে। বিজিবির জনসংযোগ কর্মকর্তা শরিফুল ইসলামও বিষয়টি দ্য ডেইলি স্টারকে নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, 'কাকরাইল এলাকায় বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।'
Comments