বিএনপিকে নয়াপল্টনে, আ. লীগকে বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটে সমাবেশের অনুমতি

বিএনপিকে আগামীকাল শনিবার নয়াপল্টনে সমাবেশের অনুমতি দিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।

আজ শুক্রবার রাতে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (অপরাধ ও অপারেশন) মাহিদ উদ্দিন দ্য ডেইলি স্টারকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, ২০ শর্তে দুই দলকে তাদের পছন্দের ভেন্যুতে সমাবেশের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।

গত ১৮ অক্টোবর দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ২৮ অক্টোবর মহাসমাবেশের ঘোষণা দেন।

সমাবেশের অনুমতি চেয়ে বিএনপির পক্ষ থেকে ডিএমপিকে চিঠি দেওয়া হয়।

ভেন্যু নিয়ে অনিশ্চয়তার মধ্যে সমাবেশের আগের রাতে ডিএমপি এ অনুমতি দিল। 

এদিকে একই দিনে বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটে সমাবেশের অনুমতি চেয়ে ডিএমপিকে চিঠি দেয় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ।

দুই দলকে পছন্দের জায়গায় সমাবেশের অনুমতি দিয়ে আজ পৃথক চিঠি দিয়েছে ডিএমপি।

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক মো. রিয়াজ উদ্দিন রিয়াজকে দেওয়া চিঠিতে বলা হয়, ২০ শর্তে শনিবার দুপুর ২টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত বিএনপিকে নয়াপল্টনে ও আওয়ামী লীগকে বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেইটে সমাবেশের অনুমতি দেওয়া হলো।

শর্তগুলো হলো-

১. এই অনুমতি স্থান ব্যবহারের অনুমতি নয়। স্থান ব্যবহারের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিতে হবে।

২. স্থান ব্যবহারের অনুমতিপত্রে উল্লেখ করা শর্ত যথাযথভাবে পালন করতে হবে।

৩. অনুমোদিত স্থানের মধ্যেই সমাবেশের যাবতীয় কার্যক্রম সীমাবদ্ধ রাখতে হবে।

৪. দুপুর ১২টার আগে জনসমাগম করা যাবে না।

৫. নিরাপত্তার জন্য নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় পর্যাপ্ত স্বেচ্ছাসেবক (দৃশ্যমান আইডি কার্ডসহ) নিয়োগ করতে হবে।

৬. নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় সমাবেশে আগতদের হ্যান্ড হেল্ড মেটাল ডিটেক্টরের মাধ্যমে (ভদ্রোচিতভাবে) চেকিংয়ের ব্যবস্থা করতে হবে।

৭. অনুমোদিত স্থানের বাইরে কোথাও লোক সমবেত হতে পারবে না।

৮. আযান, নামাজ ও অন্যান্য ধর্মীয় সংবেদনশীল সময় মাইক বা শব্দযন্ত্র ব্যবহার করা যাবে না।

৯. ধর্মীয় অনুভূতির ওপর আঘাত আসতে পারে এমন কোনো বিষয়ে ব্যঙ্গচিত্র প্রদর্শন, বক্তব্য বা প্রচার করা যাবে না।

১০. অনুমোদিত সময়ের মধ্যে সমাবেশের সার্বিক কার্যক্রম অবশ্যই শেষ করতে হবে।

১১. সমাবেশ সমাপ্তির পর প্রস্থানের সময় রাস্তায় কোথাও কোনো সংক্ষিপ্ত সমাবেশ বা অবস্থান করা যাবে না।

১২. আদালত কর্তৃক সাজাপ্রাপ্ত কেউ সমাবেশে বক্তব্য দিতে বা তার কোনো বক্তব্য সমাবেশে প্রচার করা যাবে না।

১৩. রাস্তার বামলেন ন্যূনতম ব্যবহার করে সমাবেশ করতে হবে এবং অন্য লেন কোনভাবেই ব্যবহার করা যাবে না।

১৪. আইন-শৃঙ্খলা পরিপন্থী ও জননিরাপত্তা বিঘ্নিত হয় এমন কার্যকলাপ করা যাবে না।

১৫. রাষ্ট্রবিরোধী কোনো কার্যকলাপ ও বক্তব্য দেওয়া যাবে না।

১৬. উস্কানিমূলক কোনো বক্তব্য দেওয়া বা প্রচারপত্র বিলি করা যাবে না।

১৭. সমাবেশে ব্যানারের আড়ালে কোনো ধরনের লাঠি-সোটা বা রড ব্যবহার করা যাবে না।

১৮. আইন-শৃঙ্খলার অবনতি ও কোনো বিরূপ পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে আয়োজনকারী কর্তৃপক্ষ দায়ী থাকবে।

১৯. এসব শর্ত যথাযথভাবে পালন না করলে তাৎক্ষণিকভাবে এই অনুমতির আদেশ বাতিল বলে গণ্য হবে।

২০. জনস্বার্থে কর্তৃপক্ষ কোনো কারণ দর্শানো ছাড়াই এই অনুমতির আদেশ বাতিল করার ক্ষমতা রাখে।

Comments

The Daily Star  | English

Wrap up polls preparations by December

Chief Adviser Prof Muhammad Yunus yesterday ordered the authorities concerned to complete, by December, the preparations for the upcoming national election.

4h ago