পিটার হাসের মুরুব্বিদের সঙ্গে আমাদের কথা হয়ে গেছে: ওবায়দুল কাদের

ওবায়দুল কাদের। ফাইল ছবি

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি পিটার হাসের কাছে সকালেও নাস্তা করতে যায়, দুপুরে যায় লাঞ্চ করতে, রাতে যায় ডিনার করতে। আমি জানি না পিটার হাস তাদের কী স্বপ্ন দেখিয়েছে। তবে ক্ষমতার স্বপ্ন দেখিয়ে লাভ নেই। ফখরুল সাহেব দিল্লী বহু দূর।

'পিটার হাস সাহেব কী করবেন, ভিসা নীতি দেবেন? কী করবেন, নিষেধাজ্ঞা দেবেন? উপরে পিটার হাস সাহেবের মুরুব্বিদের সঙ্গে আমাদের কথা হয়ে গেছে, আমেরিকারও মুরুব্বি যারা তাদের সাথে কথা বার্তা শেষ, উচ্চ পর্যায়েও কথা বার্তা হয়ে গেছে, কখন? তলে তলে যখন সব শেষ তখন আর এসব করে লাভ কী! পিটার হাসকে দেখিয়ে নির্বাচন বন্ধ করবেন, ঢাকায় তাণ্ডব করবেন—সে খেলা খেলতে দেবো না।'

আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের আয়োজিত শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশে এসব কথা বলেন ওবায়দুল কাদের।

তিনি বলেন, 'শেখ হাসিনা নজিরবিহীন নিরপেক্ষ নির্বাচন করবেন। ফখরুল সাহেব নির্বাচনে না এলে আমও যাবে ছালাও যাবে। মির্জা ফখরুল এখনো তত্ত্বাবধায়ক সরকারে লাশ নিয়ে টানাটানি করতেছে, তত্ত্বাবধায়ক সরকার মরা লাশ, আজিমপুরের গোরস্থানে চিরনিদ্রায় শায়িত।'

'নির্বাচন হবে বাংলাদেশে, শেখ হাসিনা বেঁচে থাকলে এদেশে নির্বাচন কেউ আটকে রাখতে পারবে না। নির্বাচন হবে শান্তিপূর্ণ উপায়ে। এদেশে নজিরবিহীন উন্নয়ন করেছেন শেখ হাসিনা, এদেশে নজিরবিহীন নিরপেক্ষ নির্বাচন শেখ হাসিনাই করবে।'

বিএনপির নেতাদের উদ্দেশে ওবায়দুল কাদের বলেন, দুনিয়াব্যাপী আপনারা বদনাম করছেন। দেশে দেশে বদনাম করছেন। কাজেই বদনাম ঘোচানোর জন্য শেখ হাসিনা এমন নির্বাচন করবেন যেটা হবে নজিরবিহীন।'

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফীর সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কামরুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, এসএম কামাল হোসেন। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. হুমায়ুন কবির সমাবেশ সঞ্চালনা করেন।

 

Comments

The Daily Star  | English

'State intelligence agency' is attempting to form political party, Rizvi alleges

Doubts are growing as to whether there are subtle efforts within the government to weaken and break the BNP, he also said

3h ago