ককটেল-গাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগ

সাভার ও কেরানীগঞ্জে বিএনপির ৬ নেতাকর্মী গ্রেপ্তার

ঢাকার সাভার ও কেরানীগঞ্জে ককটেল বিস্ফোরণ, গাড়ি ভাঙচুর এবং অগ্নিসংযোগের দুই মামলায় বিএনপির ছয় জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আমিনবাজারে বৃহস্পতিবার বিএনপির সমাবেশ। ছবি: স্টার

ঢাকার সাভার ও কেরানীগঞ্জে ককটেল বিস্ফোরণ, গাড়ি ভাঙচুর এবং অগ্নিসংযোগের দুই মামলায় বিএনপির ছয় জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

পুলিশ বলছে, সাভার মডেল থানার মামলায় আক্তার হোসেন কবিরাজ, ওয়ালিউল্লা ওয়ালিদ, সজিব হোসেন ও ওসমান গণী এবং কেরানীগঞ্জ মডেল থানার মামলায় সাহাদাত হোসেন ও রাজুকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তার সবাই বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত।

সাভার থানায় দায়েরকৃত মামলা সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার আমিনবাজারের সমাবেশ শেষে ফেরার পথে বিএনপির নেতাকর্মীরা সাভারের হেমায়েতপুরে তানিম ফার্নিচার কারখানা সংলগ্ন এলাকায় ককটেল বিস্ফোরণ ও গাড়ি ভাঙচুর করেন। এ ঘটনায় ঢাকা-১৯ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ডা. দেওয়ান মো. সালাহউদ্দিন বাবুসহ বিএনপির প্রায় ৪০ নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাতনামা ৪০-৫০ জনকে আসামি করে একটি মামলা করে সাভার মডেল থানা পুলিশ। সেই মামলায় তিন এজাহারনামীয় আসামি আক্তার হোসেন কবিরাজ, ওয়ালিউল্লা ওয়ালিদ, সজিব হোসেন ও অজ্ঞাতনামা আসামি ওসমান গণীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। 

এ বিষয়ে সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দীপক চন্দ্র সাহা দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'হেমায়েতপুরে তানিম ফার্নিচার কারখানা সংলগ্ন এলাকায় ককটেল বিস্ফোরণ ও গাড়ি ভাঙচুরের মামলায় বিএনপির চার নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এরমধ্যে তিন জন মামলার এজাহারনামীয় আসামি ও একজন সন্দেহভাজন আসামি।'
 
গ্রেপ্তার চার জনের পাঁচ দিনের রিমান্ড চেয়ে আজ দুপুরে আদালতে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।

কেরানীগঞ্জ মডেল থানা সূত্র জানায়, সমাবেশ থেকে ফেরার পথে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কেরানীগঞ্জের ওয়াশপুর এলাকায় একটি অটোরিকশায় অগ্নিসংযোগসহ ককটেল বিস্ফোরণ ও পুলিশের ওপর হামলা করেন বিএনপি নেতাকর্মীরা। এ ঘটনায় বিএনপির ৩১ নেতাকর্মীর নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত অনেককে আসামি করে কেরানীগঞ্জ মডেল থানায় মামলা হয়। 

কেরানীগঞ্জ মডেল থানার ওসি মামুনুর রশীদ ডেইলি স্টারকে বলেন, 'সমাবেশ থেকে ফেরার পথে কেরানীগঞ্জের ওয়াশপুর এলাকায় একটি অটোরিকশায় অগ্নিসংযোগসহ ককটেল বিস্ফোরণ ও পুলিশের ওপর হামলার মামলায় যুবদলের দুই নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।' 

নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তারের তীব্র নিন্দা জানিয়ে ঢাকা জেলা বিএনপির সভাপতি খন্দকার আবু আশফাক ডেইলি স্টারকে বলেন, 'গায়েবি ও মিথ্যা মামলায় নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করে হয়রানি করা হচ্ছে।'
 
পুলিশ অতি-উৎসাহী হয়ে মিথ্যা মামলা সাজিয়ে বিএনপি নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করছে দাবি করে প্রশাসনকে মিথ্যা মামলার এই চর্চা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান তিনি।

 

Comments