‘আইনের বাইরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কিছু করতে পারবে না’
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসা প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, 'আইনের বাইরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কিছু করতে পারবে না।'
আজ রোববার দুপুরে সচিবালয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
বেগম খালেদা জিয়ার বিদেশে নেওয়ার ক্ষেত্রে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমতির প্রয়োজন আছে এমন কথা হচ্ছে। এমন কোনো উদ্যোগ আছে কি না জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী গণমাধ্যমকর্মীদের বলেন, 'বেগম খালেদা জিয়া একটি মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত এবং প্রধানমন্ত্রী তার কথা চিন্তা করে, দণ্ড স্থগিত করে বাসায় উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা করে দিয়েছেন।'
তিনি বলেন, 'বাংলাদেশের বেস্ট পসিবল ডাক্তাররা এবং সবচেয়ে উন্নত একটি হাসপাতালে তিনি চিকিৎসা সেবা নিচ্ছেন। আমরা সব সময় লক্ষ রাখি যে, আদালত থেকে একটি সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছিল, সেই সীমা তাদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আমরা বাড়িয়ে দিচ্ছি।'
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমতি লাগে কথাটি সঠিক না মন্তব্য করে আসাদুজ্জামান বলেন, 'এটা যেহেতু কোর্টের এখতিয়ারধীন, কোর্টের অনুমোদন ছাড়া হোম মিনিস্ট্রির এখানে কিছু করার নেই। স্বাভাবিক কারণে হোম মিনিস্টারের এখানে তারা আবেদন করেন। হোম মিনিস্ট্রি আইনি ব্যাখ্যার জন্য, পরামর্শের জন্য আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়ে দেয়।
'আইন মন্ত্রণালয় যদি মনে করে এটি কোর্টের এখতিয়ার, কোর্টে পাঠিয়ে দেবে। যদি মনে করে, প্রধানমন্ত্রী কিছু কাজ করতে পারে; এভাবে এখন পর্যন্ত চলছে। আমি মনে করি, আইনগত একটা জটিলতা রয়েছে। সেখানে হয়তো আদালতের একটা পারমিশনের প্রয়োজন হতে পারে। এটা আইনমন্ত্রী ভালো জানেন,' যোগ করেন তিনি।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, 'আইনের বাইরে আমাদের মন্ত্রণালয় কিছু করতে পারবে না। এখনো আমাদের কাছে আবেদন আসেনি।'
বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে এই আবেদন তারা প্রত্যেকবারই করেন—এ ব্যাপারে জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, 'প্রত্যেকবারই তারা করেন। আমরা যতটুকু মঞ্জুর করতে পারি, ততটুকু মঞ্জুর করে দেই। এর পরে করতে হলে আদালতে যেতে হবে। আদালতের বাইরে আমরা যতটুকু করতে পারি ততটুকু করে দিচ্ছি।'
মার্কিন ভিসা নীতির একটা বড় তালিকা নানাভাবে আসছে। এটা রিউমার নাকি সত্যি; সরকারের কাছে আদৌ কোনো তালিকা আছে কি না প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, 'ভিসা নীতি তারা ঘোষণা করেছে, আমরা শুনেছি। আমাদের চিঠির মাধ্যমে তারা জানায়নি। কাজেই যেটা শুনেছি, সেটাই আমরা জানি। এখন পর্যন্ত কাকে নিষিদ্ধ করেছে সেটা আমরা জানি না। যে লিস্ট দিয়েছে, সেটার ভিত্তি কী সেটাও আমি জানি না।
'ভিসা নীতি প্রণয়ন করেছে, এটা তাদের ব্যাপার। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তাদের দেশে কাকে যেতে দেবে, কাকে যেতে দেবে না এটা তাদের ব্যাপার। সেখানে আমাদের বলার কিছু নেই,' বলেন আসাদুজ্জামান।
Comments