সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সরকারবিরোধী প্রচারণা প্রতিরোধ করুন: দলের নেতাদের প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি: সংগৃহীত

সরকারবিরোধী প্রচারণা প্রতিরোধে আওয়ামী লীগ নেতাদের দৈনিক অন্তত আধঘণ্টা সময় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যয় করতে বলেছেন দলের সভাপতি শেখ হাসিনা।

একইসঙ্গে বিরোধীরা মিথ্যা প্রচারণা চালাচ্ছে উল্লেখ করে আসন্ন নির্বাচনকে মাথায় রেখে সরকারের বিপুল অর্জন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তুলে ধরার আহ্বানও জানিয়েছেন তিনি।

গতকাল বুধবার গণভবনে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও সহযোগী সংগঠনের শীর্ষ নেতৃত্বসহ প্রায় ৪০ নেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি বলেন, 'আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তুলেছি। এখন তারা অপপ্রচার চালানোর জন্য এই মাধ্যম ব্যবহার করছে।'

বৈঠকে অংশ নেওয়া একাধিক নেতার সূত্রে জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, 'আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা রাজপথে স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি বিএনপি-জামায়াতকে পরাজিত করেছে... এখন সাইবার যুদ্ধে জিততে আমাদের আরও সক্রিয় হতে হবে।'

আওয়ামী লীগ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পিছিয়ে আছে উল্লেখ করে দলের সভাপতি বলেন, 'রাজপথে ব্যর্থতার পর বিরোধী দলগুলো এখন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বেশি সক্রিয়।'

জনগণ যাতে বিভ্রান্ত না হয়, সেজন্য বিরোধী দলের অপপ্রচার প্রতিরোধ করতে হবে বলে উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।

'আপনারা সবাই যদি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সক্রিয় হন, তাহলে অপপ্রচার রোধ করা সম্ভব হবে', দলের নেতাদের বলেন তিনি।

এরপর আওয়ামী লীগ সভাপতি তার দলের নেতাদের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নেওয়ার এবং দলের অভ্যন্তরীণ কোন্দল নিরসনের আহ্বান জানান।

দলের নেতাকর্মীদের মধ্যকার অসন্তোষের কথা উল্লেখ করে আগামী বছরের জানুয়ারিতে অনুষ্ঠেয় নির্বাচনে দলের পক্ষ থেকে যাকে মনোনয়ন দেওয়া হবে, সবাইকে এক হয়ে তাদের পক্ষে কাজ করার আহ্বান জানান শেখ হাসিনা।

এরপর তিনি দলের সহকর্মীদের উদ্বিগ্ন না হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, আওয়ামী লীগের জনগণের সমর্থন রয়েছে বলেই বিএনপি সরকার উৎখাত করতে পারবে না।

'উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই। আমরা এখানে আছি এবং থাকব', বলেন তিনি।

এ ছাড়া জঙ্গিবাদ ও সাম্প্রদায়িক সহিংসতার সঙ্গে বিএনপির সম্পৃক্ততার বিষয়টি প্রচারের জন্য দলীয় নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান আওয়ামী লীগ সভাপতি। পাশাপাশি বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালীন যে দুঃশাসন, দুর্নীতি, অপকর্ম ও অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে, তা নিয়ে কথা বলা উচিত বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

নোবেলজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিনি একজন সুদখোর ও বেঈমান।

তিনি আরও বলেন, 'সে বিশ্বব্যাংককে দিয়ে পদ্মা সেতুতে অর্থায়ন বন্ধের চেষ্টা করেছে। আমি কি তাকে ছেড়ে দেবো?'

বৈঠকে শেখ হাসিনার ভাগ্নে ও সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশনের (সিআরআই) ট্রাস্টি রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ববি এবং ঢাকা-১৭ আসনের সংসদ সদস্য মোহাম্মদ আলী আরাফাতও বক্তব্য রাখেন।

বৈঠকে আওয়ামী লীগ নেতা জাহাঙ্গীর কবির নানক, আবদুর রহমান, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সেলিম মাহমুদসহ যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, ছাত্রলীগ, কৃষক লীগ, মহিলা আওয়ামী লীগ, মহিলা শ্রমিক লীগ ও যুব মহিলা লীগের শীর্ষ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

Comments

The Daily Star  | English

Those involved in Ijtema ground deaths won't be spared: home adviser

The home adviser met with both factions of Tabligh Jamaat today at the Secretariat

1h ago