নাটোর

বিএনপি সদস্য সচিব ‘রহিম নেওয়াজকে পিটিয়েছি, দুই পায়ে লাঠি দিয়ে মেরেছি’

নাটোর জেলা বিএনপির সদস্য সচিব রহিম নেওয়াজকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। ছবি: সংগৃহীত

নাটোর জেলা বিএনপির সদস্য সচিব রহিম নেওয়াজের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। আজ সোমবার ভোর ৫টার দিকে নাটোর শহরের চকবৈদ্যনাথ (গুড়পট্টি) এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

রহিম নেওয়াজের ছেলে রাকিব নেওয়াজ অভিযোগ করে বলেন, দেশব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে জেলা বিএনপির কর্মসূচির জন্য রহিম নেওয়াজ পন্ডিতগ্রামের বাড়ি থেকে রিকশায় করে বিএনপির কার্যালয় আলাইপুরের দিকে যাচ্ছিলেন। শহরের গুড়পট্টি এলাকায় পৌঁছালে আওয়ামী লীগ কর্মী রাশিদুল ইসলাম কোয়েল এবং তার সহযোগীরা অতর্কিত হামলা করে। এতে তার দুই পা এবং হাতে আঘাত লাগে।

হামলার অভিযোগ স্বীকার করে অভিযুক্ত রাশিদুল ইসলাম কোয়েল বলেন, 'বিএনপির নৈরাজ্য প্রতিহত করার জন্য রাজপথে ছিলাম। রহিম নেওয়াজকে পিটিয়েছি। তার দুই পায়ে আঘাত করেছি লাঠি দিয়ে।'

নাটোর জেলা বিএনপির আহবায়ক শহিদুল ইসলাম বাচ্চু বলেন, রহিম নেওয়াজকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। সেখানে চিকিৎসার পর জানা যাবে তার শরীরের কোন অংশ ভেঙ্গে গেছে কিনা।

আজকের জেলা কর্মসূচি বাতিল করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

শহিদুল ইসলাম বাচ্চু বলেন, জেলা বিএনপি অফিসের সামনে পুলিশের উপস্থিতিতে সকাল থেকে আওয়ামী লীগের লোকজন লাঠিসোঁটা এবং অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে অবস্থান করছে। কর্মসূচির চেয়ে নেতাকর্মীদের জীবনের গুরুত্ব বেশি তাই কর্মসূচি বাতিল করা হয়েছে।

রহিম নেওয়াজের ওপর হামলার বিষয়ে জানতে চাইলে নাটোর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নাছিম আহমেদ দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন,  'আমি কিছুই জানি না। ভোর পাঁচটার দিকে ঘটনা। ওই সময় আমাদের ডেপলয়মেন্ট হয় নাই। আমাদের ডেপলয়মেন্ট ছিল ৭টায়। তারপর থেকে কোন ঘটনা ঘটে  নাই।'

নাটোর-২ আসনের সংসদ সদস্য শফিকুল ইসলাম শিমুল দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'বিএনপি নাশকতা করার চিন্তা করেছিল, পরবর্তীতে আমি আমার দলীয় নেতাকর্মীকে মাঠে রেখেছি।'

বিএনপি নেতা রহিম নেওয়াজের উপর হামলার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না।

এদিকে সকাল থেকেই শহরের স্টেশন বাজার এলাকা, হাফরাস্তা, আলাইপুরসহ বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে লাঠিসোঁটা নিয়ে অবস্থান নিতে দেখা যায় আওয়ামী লীগ এবং যুবলীগের নেতাকর্মীদের।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে নাটোর সদর থানার অফিসার ইনচার্জ নাছিম আহমেদ বলেন তিনি কারও হাতে লাঠিসোঁটা দেখেননি।

Comments

The Daily Star  | English

US welcomes Bangladesh election plan

The US yesterday welcomed plans by Bangladesh's interim leader to hold elections next year or in early 2026

1h ago