নয়াপল্টনের দিকে খণ্ড খণ্ড মিছিলের স্রোত

রাজধানীর নয়াপল্টনে আজ শুক্রবার দুপুর ২টা থেকে বিএনপির মহাসমাবেশ শুরু হওয়ার কথা থাকলেও নির্ধারিত সময়ে আগেই দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে নেতাকর্মীরা খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে সমাবেশের স্থলে সমবেত হতে শুরু করেছেন।

আজ সকাল থেকেই ব্যানার, ফেস্টুনসহ তারা সমাবেশস্থলে আসতে শুরু করে। মহাসমাবেশ শুরুর আগেই নেতাকর্মীতে পূর্ণ হয়ে গেছে নয়াপল্টন ও এর আশেপাশের এলাকা। সমাবেশ এলাকায় যানবাহন চলাচল প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে।

সরেজমিন দেখা যায়, সমাবেশ স্থলের সামনের রাস্তা পূর্ণ হয়ে নেতাকর্মীরা কাকরাইল মসজিদের সামনে থেকে নাইটিঙ্গেল মোড় এবং নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনের সড়ক হয়ে ফকিরাপুল পর্যন্ত সড়কে অবস্থান নিয়েছেন। 

অন্যদিকে মালিবাগ আবুল হোটেল থেকে শুরু করে মালিবাগ, মৌচাক, সেগুনবাগিচা কাঁচাবাজার, বিজয়নগর পানির ট্যাংকসহ নয়াপল্টনের আশপাশের অলিগলিতে বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী অবস্থান নিয়েছেন। 

তারা ছোট ছোট মিছিল নিয়ে আশপাশের সড়কগুলো প্রদক্ষিণ করে নিজেদের বসার স্থান নির্ধারণ করছেন। এ ছাড়া তাদের খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দিতে দেখা গেছে। সব মিলিয়ে নেতাকর্মীদের মধ্যে উৎসবের পরিবেশ বিরাজ করছে।

ভোলার দৌলতখান থেকে গতকাল সন্ধ্যায় প্রায় ৫০০ জনকে নিয়ে ঢাকায় পৌঁছেন দৌলতখান থানা শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক মো. নূরনবী। তিনি দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, ঢাকায় আসার পর তাদের বিভিন্ন স্থানে চেকিং করা হয়েছে। তবে ভোলা থেকে লঞ্চে ঢাকা আসার পথে কোনো ঝামেলা হয়নি।

একই দিনে সরকারি দলেরও সমাবেশ হচ্ছে, এখন যদি কোনো ঝামেলা বা সহিংসতা হয় তাহলে কি করবেন, এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, 'আমরা কোনো ফাঁদে পা দেব না। শান্তিপূর্ণভাবে সমাবেশটুকু করতে পারা আমাদের জন্য যথেষ্ঠ। আমাদের শুধু বলতে দেওয়া হোক, আমাদের অবস্থানটা জানাতে দেওয়া হোক।'

দৌলতখান থেকে প্রায় ২ হাজার নেতাকর্মীসহ মহাসমাবেশে অংশ নিতে এসেছেন মো. মনির হোসেন নামে আরেকজন বিএনপি নেতা। মনির হোসেন জানান, মহাসমাবেশের আগে বাধা দেওয়া হতে পারে, তাই ৩ দিন আগেই তিনি ঢাকা এসে পৌঁছেছেন। কয়েকদিন বিভিন্ন পরিচিতদের বাসাবাড়িতে থেকেছেন। আস সকাল সকাল সমাবেশ স্থলে এসেছেন।

স্থানীয় ও কেন্দ্রীয় নেতারা সকাল ১০টা থেকেই সমাবেশে বক্তব্য দিতে শুরু করেছেন।   

এর বাইরে বিজয়নগরের পানির ট্যাংকির সামনে মহাসমাবেশ করার কথা আছে ১২ দলীয় জোটের। এ ছাড়া জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট দুপুর ১১টায় আল রাজি কমপ্লেক্সের সামনে, গণফোরাম ও পিপলস পার্টি বিকেল ৩টায় নটরডেম কলেজের সামনে, গণতন্ত্র মঞ্চ বিকেল ৩টায় মৎস্য ভবনের সামনে ও গণঅধিকার পরিষদ বিকেল ৩টায় কালভার্ট রোড কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ করবে। সেইসঙ্গে অলি আহমেদের নেতৃত্বাধীন এলডিপি বিকেল ৩টায় এফডিসির সামনে, গণ অধিকার পরিষদ (রেজা কিবরিয়া) বিকেল ৪টায় প্রেসক্লাবের সামনে, লেবার পার্টি বিকেল সাড়ে ৩টায় বিজয় নগর পানির ট্যাংকি এলাকায়, গণতান্ত্রিক বাম ঐক্য সকালে সাড়ে ১০টায় প্রেসক্লাবের সামনে, এনডিএম বিকেল ৩টায় মালিবাগ মোড় হোসাফ টাওয়ার সংলগ্ন এলাকায় এবং সমমনা পেশাজীবী গণতান্ত্রিক জোট প্রেসক্লাবের সামনে সকাল ১০টায় সমাবেশ করবে। তার আগে নেতাকর্মীরা জমায়েত হতে শুরু করেছেন।
 

Comments

The Daily Star  | English

What are we building after dismantling the AL regime?

Democracy does not seem to be our focus today. Because if it were, then shouldn’t we have been talking about elections more?

12h ago