কার্যালয়ে জোরপূর্বক প্রবেশ: নুর-রাশেদসহ নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে ভবনমালিকের মামলা

প্রিতম–জামান টাওয়ারের সামনের রাস্তায় অনুসারীদের নিয়ে নুরুল হক নুরের সংবাদ সম্মেলন। ছবি: সংগৃহীত

পল্টন কার্যালয়ে জোরপূর্বক প্রবেশ ও ভাঙচুরের অভিযোগে গণঅধিকার পরিষদের একাংশের সভাপতি নুরুল হক নুর ও সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ রাশেদ খানসহ দলটির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।

এদিকে, পুলিশ পল্টনের প্রিতম–জামান টাওয়ারে গণঅধিকার পরিষদের কার্যালয় ঘেরাও করে রেখেছে, কাউকে প্রবেশ করতে দিচ্ছে না।

পল্টন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সালাহউদ্দিন মিয়া জানান, বৃহস্পতিবার রাতে নুর ও তার অনুসারীরা জোরপূর্বক কার্যালয়ে ঢুকে পড়ার পর প্রিতম–জামান টাওয়ারের মালিক কর্নেল (অব.) মিয়া মশিউজ্জামান, যিনি দলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক ও রেজা কিবরিয়ার নেতৃত্বাধীন অপর পক্ষের সমর্থক বাদী হয়ে পল্টন থানায় এই মামলা করেন।

মামলায় নুর ও রাশেদসহ ১৭ জনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাতনামা ৭৫ জনকে আসামি করা হয়েছে।

গণঅধিকার পরিষদ কার্যালয়ে তালা দেওয়ার পর বৃহস্পতিবার রাত থেকেই ভবনের সামনে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।

পল্টন থানার উপ-পরিদর্শক আকরাম হোসেন জানান, তারা ভবন প্রাঙ্গণসহ চতুর্থ, পঞ্চম ও ষষ্ট তলায় ডিউটি বসিয়েছেন। দলের কাউকেই ভেতরে যেতে দেওয়া হচ্ছে না।

ভবনের ষষ্ট তলায় গণঅধিকার পরিষদের কার্যালয়।

আজ শুক্রবার নুর ও রাশেদসহ তাদের অনুসারীরা ভবনে প্রবেশের চেষ্টা করেন। কিন্তু পুলিশ তাদের ঢুকতে দেয়নি।

পরে প্রিতম–জামান টাওয়ারের সামনের রাস্তায় সংবাদ সম্মেলন করেন নুর জানান, মালিকপক্ষের সঙ্গে চুক্তি অনুযায়ী আগামী ৬ মাস তারা কার্যালয় ব্যবহার করতে চান।

৬ মাস পর কার্যালয় স্থানান্তর করা হবে জানিয়ে নুর বলেন, কার্যালয়ে ব্যবহারে বিরত রাখলে আইনি ব্যবস্থা নেবেন।

এরপর তারা বিক্ষোভ মিছিল করেন।

অপর পক্ষের নেতা ও ভবনমালিক মিয়া মশিউজ্জামান জানান, ভাড়া না দেওয়ায় তিনি নুরকে কার্যালয় ব্যবহার করতে দিতে চান না।

তিনি বলেন, '৬ মাসের চুক্তি ভাড়াটেদের জন্য, যারা ভাড়া দেয় না তাদের জন্য নয়।'

যারা জোরপূর্বক ভবনে ঢুকেছে সিসিটিভি ফুটেজ দেখে তাদের চিহ্নিত করার পর মামলা করেছেন বলেও জানান তিনি।

Comments

The Daily Star  | English
The Indian media and Bangladesh-India relations

The Indian media and Bangladesh-India relations

The bilateral relationship must be based on a "win-win" policy, rooted in mutual respect, non-hegemony, and the pursuit of shared prosperity and deeper understanding.

9h ago