নিরপেক্ষ সরকার নিয়ে বিএনপির সঙ্গে আলোচনা হবে না: ওবায়দুল কাদের

ডাঃ ইউনূসের ৬ মাসের জেল
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। ফাইল ছবি

নিরপেক্ষ সরকারের শর্ত নিয়ে বিএনপির সঙ্গে কোনো আলোচনা হবে না বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

তিনি বলেছেন, 'গতবারের নির্বাচনের আগের কথা আমাদের মনে আছে, একবার নয়, দুইবার তাদের সঙ্গে সংলাপে বসেছি। রেজাল্ট কী? কোনো লাভ হয়নি। নিরপেক্ষ সরকারের শর্ত নিয়ে দলটির সঙ্গে কোনো সংলাপ হবে না।'

ওবায়দুল কাদের আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় এ কথা বলেন। ঐতিহাসিক ছয় দফা দিবস উপলক্ষে এই আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, 'নিষেধাজ্ঞার জন্য নালিশ করতে করতে বিএনপি এখন নিজেরাই ফাঁদে পড়েছে। তারা নিজেরাই 'ফাঁদে পড়ে কান্দে'। এখন তারা নালিশ করে নিষেধাজ্ঞার পরিবর্তে পেয়েছে ভিসানীতি।'

তিনি বলেন, এই ভিসানীতি নিয়ে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। কাকে ভিসা দেবে, কাকে দেবে না, সেটা সেই দেশের ব্যাপার। আমরাও আমাদের দেশে কাকে ভিসা দেব, কাকে দেব না, সেটাও আমাদের ব্যাপার। এ নিয়ে ভয় পাওয়ার কী আছে। 

ওবায়দুল কাদের বলেন, নির্বাচনে যারা বিশৃঙ্খলা করবে তাদের বিরুদ্ধে ভিসা নীতি প্রয়োগ হবে। বিশৃঙ্খলা করতে চায় কারা? তারা হলো বিএনপি। তাদের সঙ্গে পূর্বে দুদফা সংলাপ হয়েছিল, কোনো লাভ হয়নি। নমিনেশন বাণিজ্য করার জন্যই কি তারা সংলাপ চায়? তাই তাদের সাথে সংলাপের কথা আমরা ভাবছি না।

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমদ মন্নাফির সভাপতিত্বে সভায় আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীর বিক্রম ও এডভোকেট কামরুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সহসভাপতি নুরুল আমিন রুহুল, যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। 

বিএনপি মহাসচিব ফখরুল ইসলাম আলমগীরের উদ্দেশে ওবায়দুল কাদের বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা আওয়ামী লীগ নয়, তা বাতিল করেছে সর্বোচ্চ আদালত।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, সংবিধান আছে, স্বাধীন নির্বাচন কমিশন আছে, তাই নির্বাচন নিয়ে চিন্তার কারণ নেই। বিদেশি বন্ধুরা চায় সুষ্ঠু নির্বাচন, আমরা সেটাই করব। বিএনপি চায় সংসদ ভেঙে দিতে, পৃথিবীর কোথাও যা হয় না, তারা সেটাই চায়। তারা চায় সরকারের পতন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, আমাদের শপথ আবার নিতে হবে। বিএনপি ক্ষমতায় গিয়ে গণতন্ত্র গিলে খেয়েছে, নির্বাচন গিলে খেয়েছে, মুক্তিযুদ্ধের মূল্যবোধ গিলে খেয়েছে। এদের হাতে দেশ নিরাপদ নয়। বিএনপি ক্ষমতা ফিরে পেলে গোটা দেশ গিলে খাবে।
মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বলেন, সুষ্ঠু অবাধ নির্বাচনের জন্য প্রয়োজনে রক্ত দেব। এ দেশে সংবিধান মেনেই নির্বাচন হবে, কেউ তা বানচাল করতে পারবে না।

কামরুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের শিখরে। দেশের উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করতে চায় ৭১ এর ঘাতকরা। নির্বাচন বানচাল করতে চায় বিএনপি ও তার দোসররা। এই অপশক্তির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে। এরা গণতন্ত্রকে হত্যা করতে চায়। 

মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন, বিএনপির লজ্জা থাকলে তারা বিদ্যুতের জন্য ঘেরাও কর্মসূচি দিত না। তারা ক্ষমতায় থাকাকালে ৩০ শতাংশ মানুষকেও বিদ্যুৎ দিতে পারেনি। সাড়ে ৩ হাজার মেগাওয়াট উৎপাদন করতে পারত বিএনপি। সেখানে এখন ২৫ হাজার মেগাওয়াট উৎপাদনের সক্ষমতা আছে আমাদের। বৈশ্বিক কারণে এখন সমস্যা হচ্ছে। এটা সাময়িক সমস্যা। সমাধান হয়ে যাবে।

Comments

The Daily Star  | English

Leather legacy fades

As the sun dipped below the horizon on Eid-ul-Azha, the narrow rural roads of Kalidasgati stirred with life. Mini-trucks and auto-vans rolled into the village, laden with the pungent, freshly flayed cowhides of the day’s ritual sacrifices.

17h ago