যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভিসানীতি সরকারকে নাড়িয়ে দিয়েছে: গণতন্ত্র মঞ্চ

রোববার রাজধানীর মালিবাগে গনতন্ত্র মঞ্চের রোডমার্চ কর্মসূচিতে বক্তৃতা করছেন নেতৃবৃন্দ। ছবি: ইউএনবি

কয়েকটি বিরোধী দলের জোট গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা বলেছেন, বাংলাদেশের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভিসানীতি এমন এক সময়ে বর্তমান সরকারকে নাড়িয়ে দিয়েছে, যখন তারা আরেকটি অগ্রহণযোগ্য নির্বাচন করে ক্ষমতায় টিকে থাকার চেষ্টা করছে।

রোববার রাজধানীর মালিবাগে রোডমার্চ কর্মসূচির আগে তারা বলেন, আগামী নির্বাচন সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য হলে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ব্যাপক বিপর্যয়ের মুখে পড়বে।

তারা বলেন, বর্তমান সরকার ২০১৪ সাল থেকে জোর করে ক্ষমতায় আছে। যুক্তরাষ্ট্রের ভিসানীতি শুধু এই সরকারের কারণেই দেশের মানুষের মুখে চুন ঢেলে দিয়েছে।

জোটের সমন্বয়ক ও বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, এই ভিসানীতি সরকারের নীতিনির্ধারকদের হৃদয়কে নাড়িয়ে দিয়েছে।

তিনি বলেন, সরকার ২০১৪ ও ২০১৮ সালের মতো আরেকটি 'প্রহসনমূলক' নির্বাচন করতে চায়।

গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা বলেন, 'আওয়ামী লীগের নেতারা এখন বুকে দুঃখ-বেদনা নিয়ে হাসছেন এবং বলছেন এই ভিসা নীতি বিরোধীদের জন্য। গাজীপুর সিটি নির্বাচনে বিরোধী দলের অংশগ্রহণ ছাড়াই আওয়ামী লীগের প্রার্থী ভরাডুবির সম্মুখীন হয়েছেন।'

সরকারের পদত্যাগ, সংসদ ভেঙে দিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরসহ ১৪ দফা দাবিতে মালিবাগ রেলগেট থেকে বাড্ডা অভিমুখে পদযাত্রা করে গণতন্ত্র মঞ্চ।

নেতারা আরও বলেন, জাতীয় নির্বাচনের ৭ মাস আগে যুক্তরাষ্ট্র ভিসানীতি ঘোষণা করেছে, কারণ তারা উপলব্ধি করতে পারে যে আওয়ামী লীগ সরকার আবারও ভোট জালিয়াতির চেষ্টা করছে। বিশ্বের কোনো দেশই এখন এই সরকারকে বিশ্বাস করে না।

তারা বলেন, ১৪ দফা দাবি আদায়ে সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে আগামী ৪ থেকে ৭ জুন ঢাকা থেকে দিনাজপুর অভিমুখে রোডমার্চ করবে জোট। আগামী ৪ জুন জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে থেকে এই রোড মার্চ শুরু হবে। ঈদুল আজহার আগে আন্দোলনকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে আমরা ধারাবাহিকভাবে আরও নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করবো।

নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন, সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত তাদের চলমান আন্দোলন অব্যাহত থাকবে। 'আমি বিশ্বাস করি আমরা বিজয়ী হব'

মার্কিন ভিসা নীতির কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, আগামী নির্বাচনে ক্ষমতাসীন দলের কারচুপির চেষ্টা ব্যর্থ করতে গোপনে কাজ চলছে।

মান্না বলেন, ভোট কারচুপি, জালিয়াতি, প্রতারণা ও দমনমূলক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে দীর্ঘদিন ক্ষমতায় টিকে থাকা সম্ভব নয়।  আপনাদের (সরকারকে) এখনই যেতে হবে।

গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি বলেন, বর্তমান সরকার ২০১৪ ও ২০১৮ সালে জনগণের ভোটাধিকার কেড়ে নেওয়ায় যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের জন্য ভিসানীতি ঘোষণা করেছে।

যুক্তরাষ্ট্রের ভিসানীতির কারণে বিরোধী দলগুলো বিপাকে পড়েছে বলে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের মন্তব্যের সমালোচনা করে তিনি বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচন হলে আওয়ামী লীগ ভেসে যাবে। দেশের জনগণকে বোকা মনে করে তারা এ ধরনের মন্তব্য করছে।

Comments

The Daily Star  | English

7 colleges to continue operating under UGC until new university formed

Prof AKM Elias, principal of Dhaka College, to be appointed as the administrator

1h ago