‘মরতে চাই দেশে গিয়েই’ দ্য ডেইলি স্টারকে সালাহউদ্দিন আহমেদ

সালাহউদ্দিন আহমেদ
সালাহউদ্দিন আহমেদ। স্টার ফাইল ফটো

ভারতে অনুপ্রবেশ মামলায় মেঘালয় রাজ্যের শিলংয়ের জজ কোর্ট থেকে খালাস পেয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ। তাকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠাতে ভারত সরকারকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

গতকাল মঙ্গলবারের এ আদেশের বিষয়ে আজ বুধবার সংবাদ প্রকাশের পর এ প্রসঙ্গে সালাহউদ্দিন আহমেদের সঙ্গে টেলিফোনে কথা হয় দ্য ডেইলি স্টারের।

আদালতের আদেশের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'নিম্ন আদালতে ২০১৮ সালের ২৬ অক্টোবর আমি খালাস পেয়েছিলাম। ভারত সরকার পরে জজ আদালতে ওই আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করেছিল। আপিলটি গতকাল খারিজ হয়ে গেছে।' 

আদালতের আদেশ আজ বুধবার অনলাইনে এসেছে জানিয়ে তিনি বলেন, 'অফিসিয়াল আদেশের জন্য আমরা অপেক্ষা করছিলাম। তাই আজ জানালাম। এখানকার আদালতগুলো অনলাইনে সবকিছুর আপডেট দেয়।' 

'আদেশে ভারত সরকারকে যত শিগগির সম্ভব আমাকে আইনি প্রক্রিয়ায় দেশে ফেরত পাঠানোর কথাও বলেছেন আদালত,' যোগ করেন তিনি। 

এখন আপনার পরবর্তী করণীয় কি, এমন প্রশ্নের জবাবে সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, 'ভারত সরকার নিশ্চয় আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী তাদের করণীয়গুলো সম্পন্ন করবে। আমার কাছে কোনো ট্রাভেল ডকুমেন্ট নেই। আমি ধরে নিচ্ছি তারা যে কোনো সময় আমাকে দেশে ফেরত পাঠাতে পারে।'

দেশেই ফেরত আসতে চান, না অন্য কোনো দেশে যেতে চান?

জবাবে সালাউদ্দিন আহমদ বলেন, 'প্রথম দিন থেকেই আমি দেশে ফিরতে চেয়েছি। অবশ্যই দেশে ফিরব।'

ফেরার পরের পরিস্থিতি নিয়ে কিছু ভাবছেন?

তিনি বলেন, 'আমি দেশে ফিরব। ফেরার পর যা হওয়ার হবে। দেশে গিয়ে যেটা হবে সেটা তখন দেখা যাবে। সবসময় দেশেই ফিরতে চেয়েছি। কেউ কেউ অনেক সময় অন্যরকম নিউজ করেছে। তারা আমার সঙ্গে কথা বলে নিউজ করেনি। বয়স হয়েছে, আমি মরতে চাই দেশে গিয়েই।'

বিএনপির নেতৃবৃন্দের সঙ্গে সঙ্গে কথা হয়েছে কি না, জানতে চাইলে দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন বলেন, 'দলের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে কথা হয়েছে। সবাই চান আমি দেশে ফিরি। আমি মনে করছি খুব শিগগির আমাকে দেশে ফেরত পাঠানো হতে পারে। ভারত সরকার তা আন্তরিকভাবে করবে বলেই আমার বিশ্বাস।'

২০১৫ সালের ১০ মার্চ রাজধানীর উত্তরা থেকে নিখোঁজ হন সালাহউদ্দিন আহমেদ। নিখোঁজের ৬৩ দিন পর ১১ মে ভারতের মেঘালয়ের শিলংয়ে স্থানীয় পুলিশ সালাহউদ্দিনকে উদ্ধার করে বলে জানা যায়।

বৈধ কাগজপত্র ছাড়া ভারতে প্রবেশের অভিযোগে ফরেনার্স অ্যাক্ট অনুযায়ী তাকে গ্রেপ্তার দেখায় মেঘালয় থানা পুলিশ। একই বছরের ২২ জুলাই ভারতের নিম্ন আদালতে আনুষ্ঠানিকভাবে তার বিরুদ্ধে অনুপ্রবেশের দায়ে অভিযোগ গঠন করা হয়।

ভারতে আটকের সময় সালাহউদ্দিন আহমেদ বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ছিলেন। পরে বিএনপির ষষ্ঠ কাউন্সিলে তিনি দলের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য হন।

Comments

The Daily Star  | English
explanations sought from banks for unusual USD rates

Explanations sought from 13 banks for higher dollar rate

BB issued letters on Dec 19 and the deadline for explanation ends today

2h ago