খালেদা জিয়ার রাজনীতি

আইনে যা আছে, আমি সেটা বলেছি: আইনমন্ত্রী

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার জমশেরপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের শতবর্ষ পূর্তি অনুষ্ঠানে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। ছবি: স্টার

বিএনপির দণ্ডপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির সময় রাজনীতি না করার ব্যাপারে কোনো শর্ত দেওয়া হয়নি বলে আবারও নিজের বক্তব্য পরিষ্কার করেছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক।

তিনি বলেন, 'আইনে যা আছে, কাগজে যা আছে আমি সেটা বলেছি।'

আইনমন্ত্রী বলেছেন, 'খালেদা জিয়াকে তার ভাই শামীম ইস্কান্দারের আবেদনের প্রেক্ষিতে মুক্তি দেওয়া হয়েছিল। আবেদনে বলা হয়েছিল, খালেদা জিয়া গুরুতর অসুস্থ, তার জীবন বিপন্ন। তার সুচিকিৎসার প্রয়োজন। এই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী দুটো শর্তে তার দণ্ডাদেশ স্থগিত রেখে মানবিক কারণে মুক্তি দিয়েছেন। শর্ত দুটো হচ্ছে – তিনি ঢাকায় নিজের বাসায় থেকে দেশে চিকিৎসা নেবেন এবং বিদেশ যেতে পারবেন না। সেখানে তিনি রাজনীতি করতে পারবেন না এমন কোনো শর্ত ছিল না।'

আইনমন্ত্রী আজ দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার বাদৈর ইউনিয়নের জমশেরপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের শতবর্ষ পূর্তি অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন তিনি।

খালেদা জিয়া রাজনীতি করতে পারবেন না বলে সরকারের একাধিক মন্ত্রী যে বক্তব্য দিয়েছেন সে ব্যাপারেও একমত পোষণ করেছেন আইনমন্ত্রী। তিনি বলেন, 'আইনে যা আছে, কাগজে যা আছে আমি সেটা বলেছি। আমার সহকর্মীরা যেটা বলছেন সেটাও বাস্তব। যিনি (খালেদা জিয়া) অসুস্থ হয়ে বেরিয়েছেন। তার অসুস্থতা এতটাই গুরুতর যে তিনি রাজনীতি করতে পারবেন না। এর পরিপ্রেক্ষিতে তারা বলছেন, তার তো রাজনীতি করার কথা না, কারণ তিনি অসুস্থ।'

বিষয়টি নিয়ে সাংবাদিকরা 'বেঠিক কথা' বলছেন বলে উষ্মা প্রকাশ করেন আইনমন্ত্রী।

আনিসুল হক বলেন, 'খালেদা জিয়া দুটো দুর্নীতি মামলায় আসামি ছিলেন। সেই মামলাগুলোর একটি বিচারিক আদালতে এবং আরেকটি হাইকোর্টে আপিল শুনানি হয়েছে এবং তাকে দণ্ড দেওয়া হয়েছে। বিচারিক আদালতে পাঁচ বছরের দণ্ড দেওয়া হয়েছিল, হাইকোর্টের আপিলে সেটা বাড়িয়ে ১০ বছর করা হয়েছে। আরেকটি মামলায় বিচারিক আদালতে শুনানি শেষে তাকে ৭ বছরের দণ্ড দেওয়া হয়েছে।'

তিনি বলেন, 'খালেদা জিয়া দুটো মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত হওয়ায় সংবিধানের ৬৬ অনুচ্ছেদ দ্বারা তিনি নির্বাচন থেকে বারিত। অর্থাৎ তিনি নির্বাচন করতে পারবেন না।'

জমশেরপুর উচ্চ বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি মো. নাছিরুল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন প্রধান শিক্ষক মো. আলী আমজাদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মো. শাহ আলম, আইন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. গোলাম সারোয়ার, কসবা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রাশেদুল কাওসার ভূঁইয়া জীবন, কসবা পৌরসভার মেয়র এম জি হাক্কানী, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান রুহুল আমিন ভূঁইয়া বকুল প্রমুখ।

 

Comments

The Daily Star  | English

Climate finance: $250b a year needed

COP29 draft deal says rich nations should pay the amount to fight climate change

57m ago