ভোলায় বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর হামলা, আহত অর্ধশতাধিক
বিএনপির নির্ধারিত পদযাত্রায় ভোলার বিভিন্ন স্থানে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের হামলার অভিযোগ উঠেছে। হামলার ঘটনায় বিএনপির অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
গুরুতর আহত ৮ জনকে ভোলা সদর হাসপাতাল ও ২ জনকে চরফ্যাশন উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। চরফ্যাশনে ওমরপুর ইউনিয়ন বিএনপি সভাপতি হাফেজ বাহালুলকে গুরুতর অবস্থায় বরিশাল পাঠানো হয়েছে।
আজ শনিবার সকাল থেকে এসব হামলার ঘটনা ঘটে।
জেলা বিএনপির সদস্য সচিব রাইসুল আলম জানান, আমাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি চলাকালে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা হামলা চালান। হামলার ঘটনায় সদর উপজেলার ধনিয়া, রাজাপুর, চরসামাইয়া, ভেলুমিয়া ইউনিয়নের ২২ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। এছাড়া বোরহানউদ্দিনের সাচড়া ও পক্ষীয়া, চরফ্যাশনের ওমরপুর ও মাদরাজসহ জেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে হামলার ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে চরফ্যাশন ওমরপুর ইউনিয়ন বিএনপি সভাপতি হাফেজ বাহালুল, যুবদল সেক্রেটারি এমরান গুরুতর আহত হয়েছেন।
চরফ্যাশন উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলমগীর মালতিয়া জানান, ওমরপুর ও মাদরাজ ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের হামলায় ১২ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।
জেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি ফজলুর রহমান বাচ্চু মোল্লা জানান, বোরহানউদ্দিনের সাচড়া ইউনিয়নে পদযাত্রার সময় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা তাদের নেতাকর্মীদের উপর হামলা চালায়। ধারালো অস্ত্র দিয়ে ইউনিয়ন যুবদলের সহসভাপতি মিরাজকে কুপিয়ে আহত করা হয়েছে। ঘটনার ৩ ঘণ্টা পর তাকে উদ্ধার করে ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এছাড়া লালমোহনে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
চরফ্যাশন থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম ডেইলি স্টারকে বলেন, 'সংঘর্ষের ঘটনায় আওয়ামী লীগের কোনো নেতাকর্মী জড়িত নন। এটি বিএনপির অভ্যন্তরীন দ্বন্দ্বের ফলে হয়েছে।'
এ বিষয়ে বোরহানউদ্দিন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনির উদ্দিন মিয়া জানান, বিএনপি ও আওয়ামী লীগের ২ পক্ষের মারামারির খবর শুনেছি। কিন্তু কেউ থানায় অভিযোগ করেননি।
চরফ্যাশন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুরাদ হোসেন জানান, থানায় হামলার কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি।
ভোলা সদর মডেল থানার ওসি জানান, কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। বিএনপির নেতাকর্মীদের ওপর হামলার কোনো অভিযোগও থানায় আসেনি।
Comments