নরসিংদীতে আ. লীগের ২ গ্রুপের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ ৩, বাড়িঘরে আগুন
আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলায় আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ৩ জন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।
উপজেলার নিলক্ষা ইউনিয়নে গতকাল মঙ্গলবার রাত থেকে আজ বুধবার দুপুর পর্যন্ত দফায় দফায় এ সংঘর্ষ হয়।
সংঘর্ষ চলাকালে অন্তত ২০-২৫টি বাড়িঘরে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। এছাড়া শতাধিক ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনাও ঘটেছে।
নরসিংদী জেলা পরিষদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের নেতা মো. রাজীব আহমেদ ও নিলক্ষা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ইসমাইলি সিরাজীর সমর্থকদের মধ্যে এ সংঘর্ষ হয়।
সংঘর্ষে আহতদের উদ্ধার করে নরসিংদী সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
রায়পুরা থানার উপপরিদর্শক মুরাদ হোসেন দ্য ডেইলি স্টারকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, ওই এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করে পরিবেশ নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করা হচ্ছে।
জানা গেছে, আওয়ামী লীগ নেতা রাজীব আহমদের সহযোগী নিলাক্ষি ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মো. আজগর আলী মোল্লার সঙ্গে ইসমাইল সিরাজীর বিরোধ হয়। সিরাজীকে সমর্থন দিচ্ছেন ইউপি চেয়ারম্যান ও জেলা কৃষক লীগের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আখতারুজ্জামান শামীম।
আহতরা হলেন-নিলক্ষা ইউনিয়নের বাসিন্দা মো. তোফাজ্জল হোসেন, রবিউল মিয়া ও রাশেদ।
নরসিংদী সদর হাসপাতালের আরএমও কমল বাশার দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'হাতে, পায়ে, পিঠেসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুলিবিদ্ধ হওয়া ৩ জনকে নরসিংদী সদর হাসপালে ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।'
জেলা পরিষদ সদস্য রাজীব আহমেদ ডেইলি স্টারকে বলেন, 'ইসমাইল সিরাজীর সমর্থক সিদ্দিক মেম্বারের নেতৃত্বে আমার লোকজনের ২০-২৫টি ঘরবাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে এবং অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে।'
সংঘর্ষের বিষয়ে ইসমাইল সিরাজীর বক্তব্য জানতে ফোন করা হলেও, তিনি রিসিভ করেননি।
জানতে চাইলে এসআই মুরাদ হোসেন ডেইলি স্টারকে বলেন, 'ঘটনাস্থলে পুলিশের ৩টি গ্রুপ কাজ করছে। পরিবেশ নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চলছে।'
এ ঘটনায় কাউকে আটক করা হয়নি বলেও জানা তিনি।
তিনি বলেন, 'সংঘর্ষের সময় কয়েকটি বাড়িঘরে আগুন দেওয়া হয়েছে। এ সময় হাতবোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে।'
Comments