‘সরকার গরিবের ওপর জুলুমের জন্য গ্যাস, বিদ্যুৎ ও পানির দাম বাড়িয়েছে’

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান। ছবি: সংগৃহীত

বর্তমান সরকারকে 'নিশিরাতের সরকার' উল্লেখ করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, সরকার অন্যায়ভাবে গরিবের ওপর জুলুম করার জন্য গ্যাস, বিদ্যুৎ ও পানিসহ সব কিছুর দাম বৃদ্ধি করেছে। এমনকি ওষুধের দামও বৃদ্ধি করেছে। বাংলাদেশে হালাল উপার্জন করে জীবিকা নির্বাহ করা অসম্ভব হয়ে পড়েছে।

আজ বুধবার বিকেলে ময়মনসিংহ নগরীর হরিকিশোর রায় রোডে আয়োজিত ময়মনসিংহ বিভাগীয় গণ-অবস্থান কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

ময়মনসিংহ, জামালপুর, শেরপুর, নেত্রকোণা ও কিশোরগঞ্জ থেকে বিএনপি ও এর অঙ্গ-সংগঠনের হাজারো নেতাকর্মী অবস্থান কর্মসূচিতে যোগ দেন।

নজরুল ইসলাম খান বলেন, 'শুধু ভালো আছে তারা, যারা চাঁদাবাজি করে, অন্যায়-অনাচার করে, ঘুষ খায়, লুটপাট করে। কিন্তু তাদের ভালোর জন্য আমরা যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করিনি। সাধারণ মানুষের কল্যাণের জন্য দেশ স্বাধীন করা হয়েছিল।'

'সরকার বলেছে- বিদ্যুতের দাম আরও ১৫ শতাংশ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। আমরা এর প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাই। আমাদের ১০ দফা দাবির সঙ্গে বিদ্যুতের দাম কমানোর দাবিতে আগামী ১৬ জানুয়ারি সারাদেশে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল করা হবে', বলেন তিনি।

বিএনপির এই নেতা বলেন, 'আমরা যদি দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি চাই, তারেক রহমানকে আমাদের মাঝে ফিরে পেতে চাই, এ দেশে চলমান দুর্নীতি, অনাচার, ব্যাংক লুট, বিদেশে টাকা পাচার, গণবিরোধী আইন ও সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বন্ধ করতে চাই, তাহলে এ সরকারকে বিদায় করতে হবে।'

নেতাকর্মীদের প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, 'যথাসময়ে যথাযোগ্য কাজটি করতে হবে। ১০ দফা দাবি আদায় ছাড়া এ দেশের মানুষের মুক্তি হবে না।'

ময়মনসিংহ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক এ কে এম শফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল আওয়াল মিন্টু, সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট ওয়ারেস আলী মামুন ও শরিফুল আলম, ময়মনসিংহ দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ডা. মাহবুবুর রহমান লিটন, মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আবু ওয়াহাব আকন্দ এবং অধ্যাপক শেখ আমজাদ আলীসহ বিএনপির বিভাগীয় নেতারা।

Comments

The Daily Star  | English

Enforced disappearances: Eight secret detention centres discovered

The commission raised concerns about "attempts to destroy evidence" linked to these secret cells

38m ago