বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে বিএনপির ২২ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে আ. লীগের মামলা

ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ ২২ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে মামলা করেছেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা।
Pirojpur
স্টার অনলাইন গ্রাফিক্স

ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ ২২ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে মামলা করেছেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা।

মঙ্গলবার আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক মো. রফিকুল ইসলাম ওরফে ইলিয়াস ফরাজি রাজাপুর থানায় এ মামলা করেন।

তিনি জানান, সোমবার রাতে বিএনপির নেতাকর্মীরা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ওপর রাতের আধারে ৩টি বোমা নিক্ষেপ করেছেন। তবে বোমার আঘাতে কেউ আহত হয়নি বলে জানা গেছে।

এ মামলায় আসামি হিসেবে উপজেলা বিএনপির সভাপতি তালুকদার আবুল কালাম আজাদ ও সাধারণ সম্পাদক মো. নাসিম উদ্দিন আকনসহ বিএনপির ২২ নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাত ৭০-৮০ জনকে আসামি করা হয়েছে।

আওয়ামী লীগ নেতা ইলিয়াসের দাবি, সোমবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলা আওয়ামী লীগের ১২- ১৫ জন নেতাকর্মী শুক্তাগর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান খানের বাড়িতে দাওয়াত খেতে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে ফেরার পথে পিংড়ি মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গনের একটি পুরাতন ভবনে কিছু লোকজনের উপস্থিতি টের পেয়ে সেখানে গিয়ে তাদের পরিচয় জানতে চান তারা। এ সময় সেখানে অবস্থানকারী শতাধিক বিএনপির নেতাকর্মীরা তাদেরকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। এক পর্যায়ে লাঠি ও রড দিয়ে তাদেরকে পেটাতে শুরু করে। তারা সেখান থেকে কিছু দূরে গেলে তাদের ওপর ৩টি বোমা নিক্ষেপ করে বিদ্যালয়ে অবস্থানকারীরা।

হামলাকারীদের কাছ থেকে অনেক দূরে থাকায় বোমাগুলো তাদের শরীরে লাগেনি। তবে লাঠির আঘাতে তাদের ৩ জন আহত হয়েছে বলে জানান তিনি।

তিনি বলেন, 'আগামী ১০ ডিসেম্বর ঢাকার সম্মেলনে অংশ নেওয়ার প্রস্তুতি হিসেবে বিএনপির নেতাকর্মীরা জড়ো হয়েছিল বলে ধারণা করছি। বিশ্বকাপ ফুটবল খেলা দেখার অযুহাতে তারা জড়ো হয়েছিল।'

এদিকে অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা বিএনপি'র সভাপতি তালুকদার আবুল কালাম আজাদ বলেন, 'গত শনিবার থেকে আমি ও আমার দলের সাধারণ সম্পাদক ঢাকায় আছি। অথচ আমাদের বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া হলো। আগামী ১০ ডিসেম্বরের সভায় আমাদের নেতাকর্মীদের যোগদান বাধাগ্রস্ত করতেই এ ধরনের গায়েবি মামলা দেওয়া হয়েছে।'

মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রাজাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পুলক চন্দ্র রায়। তিনি বলেন, 'অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।'

Comments

The Daily Star  | English

Police didn't follow int'l standards while using lethal weapons: IGP

Police failed to adhere to the standards in home, which they have maintained during their UN missions, Mainul Islam said

6h ago