বগুড়ায় যুবলীগের মিছিলে ককটেল, বিএনপির কার্যালয় ভাঙচুরের অভিযোগ
বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলা যুবলীগের সন্ত্রাসবিরোধী মিছিলে ককটেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটছে। উপজেলা আওয়ামী লীগের অভিযোগ, বিএনপি এ হামলা চালিয়েছে। এ সময় ছাত্রলীগের ৫ কর্মী আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
এদিকে এ ঘটনার পর ছাত্রলীগ-যুবলীগের বিরুদ্ধে পুরাতন সোনালী ব্যাংক এলাকায় বিএনপির উপজেলা দলীয় কার্যালয় ভাঙচুরের অভিযোগ তুলেছেন উপজেলা বিএনপি নেতারা।
বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টার দিকে আদমদীঘি বিএনপি অফিসের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
যুবলীগের মিছিলে আহত ৫ জন হলেন মশিউর রহমান (২২), নূর আলম বাপ্পি (২৫), জাফরান হোসেন রিফাত (২৪), মিঠু (২৩) ও রাসেল (২১)। তারা সবাই ছাত্রলীগের কর্মী।
তাদের মধ্যে ইটের আঘাতে ৩ জন এবং ককটেল সদৃশ্য বস্তুর বিস্ফোরণে ২ জন আহত হয়েছেন।
তাদের সবাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি চলে গেছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
আদমদীঘি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল করিম দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'যুবলীগের মিছিল থানা বাসস্ট্যান্ড থেকে যখন বিএনপি অফিসের সামনে আসে তখন ৪টি ককটেল সদৃশ্য বস্তু নিক্ষেপ করা হয় মিছিলে। এই সময় ২ পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া এবং ইট পাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। পুলিশ দ্রুত গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়।'
'২টি ককটেল সদৃশ্য বস্তু বিস্ফোরিত হয়েছে বলে আমরা জানতে পেরেছি। বাকি অবিস্ফোরিত ২টি আমরা উদ্ধার করে নিরাপদে রেখেছি পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য। এ বিষয়ে মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে', যোগ করেন তিনি।
আদমদীঘি উপজেলা আওয়ামী লীগের সিরাজুল ইসলাম খান দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, মিছিল নিয়ে যুবলীগের মিছিল যখন বিএনপি অফিসের সামনে দিয়ে যাচ্ছিল তখন বিএনপির লোকজন ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। এতে করে ছাত্রলীগের ৫ জন আহত হন। এই বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
অন্যদিকে উপজেলা বিএনপির সভাপতি আবদুল মহিত তালুকদার সাংবাদিকদের বলেন, মিছিলের ঘটনার পরে ছাত্রলীগ-যুবলীগে বিএনপির দলীয় কার্যালয় হামলা চালিয়ে অনেক কিছু ভাঙচুর করেছে। বিএনপির লোকজন যুবলীগের মিছিলে হামলা করেনি।
এদিকে বিএনপির কার্যালয়ে হামলার অভিযোগ অস্কীকার করেছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতারা।
বিএনপির অভিযোগের জানতে চাইলে ওসি রেজাউল করিম বলেন, 'আমরা গিয়ে বিএনপির পার্টি অফিস বন্ধ পেয়েছি। কোনো ভাঙচুর হয়েছে কি না সেটা প্রাথমিক তদন্তের পর বলা যাবে।'
Comments