চারদিকে তাকালে চোর, চুরি, গুন্ডামি: ফখরুল

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। স্টার ফাইল ছবি

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, চারদিকে তাকালে চোর, চুরি, গুন্ডামি।

আজ মঙ্গলবার সকালে ফার্মগেটে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ মন্তব্য করেন। এর আগে সাবেক সংসদ সদস্য রুমনা মাহমুদকে দেখতে যান।

ফখরুল বলেন, 'আপনাদের (আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী) সামনে দিয়ে জঙ্গি উধাও হয়ে যাচ্ছে। বুঝতেই পারেন তাদের (সরকার) গভর্নেন্স। কোন জায়গায় তারা গভর্নেন্সকে নিয়ে এসেছে।'

তিনি বলেন, 'বাংলাদেশে একটা গভীর সংকটে পড়ে গেছে, একেবারে খাদে এসে গেছে। একদিকে অর্থনৈতিক সংকট, আরেকদিকে রাজনৈতিক সংকট।'

'আমরা এখনো মনে করি, এসব সন্ত্রাস, অত্যাচার-নির্যাতন বাদ দিয়ে তাদের শুভ বুদ্ধির উদয় হবে। দেশে সত্যিকার অর্থে একটি অন্তর্বর্তীকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কাছে ক্ষমতা দিয়ে একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যবস্থা করবে। অন্যথায় কোনো মতেই সমস্যার সমাধান করার সম্ভাবনা আমরা দেখি না,' বলেন তিনি।

এক প্রশ্নের জবাবে বিএনপি মহাসচিব বলেন, 'আওয়ামী লীগ দেশকে, জাতিকে গভীর সংকটে ফেলেছে। যদি নির্বাচন ঠিক মতো না হয়, নির্বাচনে যদি জনপ্রতিনিধি সঠিকভাবে নির্বাচিত না হয়, সে দেশ কীভাবে চলবে? ভারতের কি কম সমস্যা আছে? ভারতে নির্বাচন হচ্ছে, সবাই সেই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছে। নেপালে একেবারে বিপরীতমুখী রাজনৈতিক দলগুলো ইলেকশন করছে এবং সবাই নির্বাচনে যাচ্ছে। সেখানে নির্বাচনে যাওয়ার পরিবেশ আছে। পাকিস্তানের মতো দেশ, তারা পর্যন্ত নির্বাচনে যাচ্ছে এবং নির্বাচন প্রক্রিয়ার প্রতি তাদের (রাজনৈতিক দল) বিশ্বাস আছে, আস্থা আছে। দুর্ভাগ্যজনক আমরা সেটা করতে পারিনি। ক্ষমতাকে চিরস্থায়ী করতে আওয়ামী লীগ এই সংকট সৃষ্টি করেছে।'

ফখরুল বলেন, 'সিরাজগঞ্জে শুরু থেকে অর্থাৎ আওয়ামী লীগ সরকারে আসার পর থেকে একটা ত্রাসের রাজত্ব সৃষ্টি করা হয়েছে। এর মূল টার্গেট হচ্ছে, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু ও তার স্ত্রী।'

আওয়ামী লীগ প্রতিপক্ষকে সহ্য করতে পারে না মন্তব্য করে তিনি বলেন, 'সন্ত্রাসের মধ্য দিয়ে প্রতিপক্ষকে তারা নির্মূল করতে চায়। ত্রাস না করলে তারা শাসন করতে পারে না—এটা হচ্ছে তাদের পুরনো অভ্যাস। তারা সারা দেশে ত্রাস সৃষ্টি করছে।'

Comments

The Daily Star  | English

Have patience for election

Chief Adviser Prof Muhammad Yunus yesterday said the government would issue a roadmap to the election as soon decisions on electoral reforms are made.

5h ago