৫০ কিলোমিটার হেঁটে সিলেট সমাবেশে যোগ দেবেন আবেদ রাজা

বৃহস্পতিবার বিকেলে কুলাউড়া উপজেলা বিএনপি কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে কথা বলছেন মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি আবেদ রাজা। ছবি: সংগৃহীত

মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি আবেদ রাজা লংমার্চ করে ১৯ নভেম্বর সিলেটের বিভাগীয় সমাবেশে যোগ দেবেন। আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে কুলাউড়া উপজেলা বিএনপি কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।

এ সময় তিনি জানান, কুলাউড়া-ব্রাহ্মণবাজার-বড়মচাল-ভাটেরা-মাইজগাঁও-ফেঞ্চুগঞ্জ-মোগলাবাজার হয়ে সিলেট শহরে প্রবেশ করবেন। কুলাউড়া থেকে সিলেট শহরের দূরত্ব প্রায় ৫০ কিলোমিটার। তিনি শুক্রবার রাস্তায় রাত্রিযাপন করবেন। 

লংমার্চে অংশগ্রহণকারীদের চিড়া, মুড়ি, গুড় ও গরম কাপড় সঙ্গে নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

তিনি বলেন, 'মিটিং যেন সফল হতে না পারে, এ জন্য সব ধরনের প্রতিবন্ধকতা শুরু হয়েছে। তবে নেতাকর্মীরা যে যার মতো করে সমাবেশস্থলে পৌঁছাবেন। আমাদের সব নেতাকর্মী বিভাগীয় সম্মেলনে যাবেন।'

আবেদ রাজা বলেন, 'বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে ও অবরুদ্ধ গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে আনতে বিএনপির সিলেট বিভাগীয় গণসমাবেশকে সফল করতে আমরা বদ্ধপরিকর। জেলা বিএনপির সব ইউনিট বিভাগীয় গণসমাবেশে যাওয়ার জন্য ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে। আমরা যে কোনো উপায়ে সমাবেশে পৌঁছাব।'

তিনি বলেন, 'যেভাবে গণজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে তাতে জমায়েত আরও বেশিও হতে পারে। সমাবেশে যোগ দিতে আসা নেতাকর্মী ও সমর্থকদের বিভিন্নভাবে বাধা দেওয়া হতে পারে। এই শঙ্কা থেকে নেতা-কর্মীরা নিজেদের উদ্যোগে সমাবেশস্থলে ক্যাম্প তৈরি করছেন। সেখানে তারা সমাবেশের আগে থেকেই অবস্থান করবেন।'

তিনি আরও বলেন, 'গণসমাবেশকে কেন্দ্র করে ক্ষমতাসীন দলের পক্ষ থেকে পাল্টা কর্মসূচি ঘোষণা এবং পরিবহন ধর্মঘটের পাঁয়তারা চালানো হচ্ছে। তবে কোনো পরিস্থিতিতেই এই গণসমাবেশ বানচাল করতে পারবে না।'

'আমি প্রথমে বিএনপির সব সদস্যের নিয়ে লংমার্চ করব বলে ঘোষণা দিয়েছিলাম। কিন্তু ঘোষণার পর থেকেই শুরু হয়ে যায় পুলিশের বেষ্টনী। আমাকে ঘেরাও করে রাখে। আমাকে অফিসের আশপাশে ঘেরাও করে রাখে। পরে আমি ঝামেলায় না গিয়ে একায় লংমার্চের পরিকল্পনা করি,' যোগ করেন তিনি।

 

Comments

The Daily Star  | English

US retailers lean on suppliers to absorb tariffs

Rather than absorbing the cost or immediately passing it on to consumers, many US apparel retailers and brands have turned to their suppliers in Bangladesh, demanding they share the pain

2h ago