বানিয়াচংয়ে পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে বিএনপি নেতা গ্রেপ্তার

হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলায় পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে এক বিএনপি নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
হবিগঞ্জ মানচিত্র
ছবি: স্টার ডিজিটাল গ্রাফিক্স

হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলায় পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে এক বিএনপি নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

আজ বুধবার ভোররাত সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলা সদরের এলআর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এ ঘটনা ঘটে।

পুলিশের দাবি, বিএনপি নেতারা অস্ত্র নিয়ে বৈঠকে বসেছিলেন। বিএনপি বলছে, আগামী ১৯ নভেম্বর সিলেটে বিভাগীয় গণসমাবেশ উপলক্ষে তারা প্রচারপত্র বিলি শেষে চায়ের দোকানে গিয়েছিলেন।

বিএনপি সূত্র দ্য ডেইলি স্টারকে জানায়, চায়ের দোকান থেকে কোনো অপরাধ ছাড়াই উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহির খানকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

বানিয়াচং থানার ওসি (তদন্ত) মো. আবু হানিফ ডেইলি স্টারকে বলেন, 'সিলেটে বিএনপির সমাবেশকে কেন্দ্র করে আজ ভোররাত সাড়ে ১২টায় সংগঠনটির ৩০-৩৫ জন নেতা-কর্মী বিস্ফোরক ও অস্ত্র নিয়ে মাঠে বসেছিলেন। পুলিশ সেখানে গেলে তারা পুলিশের ওপর হামলা করে ও ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়।'

'সে সময় বানিয়াচং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অজয় চন্দ্র দেবসহ ৫ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন' উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, 'সেখান থেকে বানিয়াচং উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহির খানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।'

'পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ৫ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়েছে। সেখান থেকে বেশকিছু বিস্ফোরক জব্দ করা হয়েছে,' যোগ করেন তিনি।

হবিগঞ্জ বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক জি কে গউছ ডেইলি স্টারকে বলেন, 'পুলিশ অন্যায়ভাবে উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহির খানকে গ্রেপ্তার করেছে। সিলেটের গণসমাবেশকে ঘিরে নেতা-কর্মীরা শান্তিপূর্ণভাবে প্রচারপত্র বিলি করছিলেন। পরে তারা এক বিএনপি নেতার দোকানে চা পান করতে যান। পুলিশ সেখানে হানা দিয়ে জাহির খানকে ধরে নিয়ে গেছে।'

তিনি আরও বলেন, 'সিলেটের গণসমাবেশে জনস্রোত হবে। জনগণের জানমালের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশ জনস্বার্থবিরোধী কাজ করেছে।'

Comments

The Daily Star  | English

Khagrachhari violence: 3 dead, 4 sent to CMCH 'with bullet wounds'

Three indigenous people died of their injuries at a hospital in Khagrachhari yesterday and early today, hours after arson attacks and violence in the district

2h ago