খুলনা রেলস্টেশনে পুলিশ-বিএনপি সংঘর্ষ
সকাল থেকে খুলনায় বিএনপির সমাবেশের পরিবেশ শান্ত থাকলেও সূর্য যত গড়িয়েছে পাল্টে গেছে দৃশ্যপট।
আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা সংগঠিত হয়ে ৩১টি ওয়ার্ডে অবস্থান নিয়েছে। নগরের বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে অবস্থান নিয়েছেন যুবলীগের নেতা-কর্মীরা। কয়েকটি এলাকায় সশস্ত্র মহড়া দিতে দেখা গেছে তাদের। এ সময় বিএনপির নেতা-কর্মীদের মারধর করারও অভিযোগ পাওয়া গেছে।
দুপুর ১২টার দিকে খুলনা রেলস্টেশন এলাকায় পুলিশ ও বিএনপি নেতা-কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। ওই সংঘর্ষের সময় রেলস্টেশন ভাঙচুর করা হয়েছে। বিএনপির সমাবেশে আগতদের বাধা দেওয়াকে কেন্দ্র করে ওই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুপুর ১২টার দিকে রেলস্টেশন চত্বরে ভিড় করেছিলেন বিভিন্ন এলাকা থেকে সমাবেশে আসা বিএনপির নেতা-কর্মীরা। এ সময় পুলিশ তাদের সেখান থেকে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে। এ নিয়ে পুলিশের সঙ্গে বাকবিতণ্ডার এক পর্যায়ে পুলিশ বিএনপি নেতা-কর্মীদের ওপর লাঠিচার্জ করে।
খুলনা রেলস্টেশনের ম্যানেজার মানিক সরকার দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'সংঘর্ষের সময় মূল ফটকের গ্লাসসহ অন্যান্য জিনিস ভাঙচুর করা হয়েছে। প্রায় আধা ঘণ্টা এই সংঘর্ষে চলেছে।'
তিনি আরও বলেন, 'এ সময় বিএনপি নেতা-কর্মীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে ও স্টেশনের বিভিন্ন জানালা-দরজার থাইগ্লাস ভেঙে ফেলে।'
নগরীর গোয়ালখালি এলাকায় রাস্তায় ব্যারিকেড দিয়ে বিএনপি নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা করা হয় এবং এতে অন্তত ৩ জন আহত হয়েছের বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। পরে তাদের সঙ্গীরা আহত নেতা-কর্মীদের নিয়েই সমাবেশ স্থলে হাজির হন।
বিএনপির কার্যকরী পরিষদের সদস্য মিজানুর রহমান মিল্টন বলেন, 'নগরীর ২১, ৯, ১৮ নম্বর ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীর অবস্থান নিয়েছে এবং তারা দুপুর ১টা থেকে বিএনপি নেতা-কর্মীদের উপর আক্রমণ চালাচ্ছেন।'
তিনি বলেন, 'বিভিন্ন জায়গায় বিএনপি নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা করে শতাধিক নেতা-কর্মীকে তারা আহত করেছেন।'
Comments