জনগণকে সেবা দেওয়াটা আমাদের সাংবিধানিক কর্তব্য: প্রধানমন্ত্রী

জনগণকে সেবা দেওয়াটা আমাদের সাংবিধানিক কর্তব্য বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
ছবি: ভিডিও থেকে নেওয়া

জনগণকে সেবা দেওয়াটা আমাদের সাংবিধানিক কর্তব্য বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

৭৩তম বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ কোর্সের সমাপনী ও সনদ বিতরণ অনুষ্ঠানে আজ সোমবার গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন।

যারা প্রশিক্ষণটি শেষ করেছেন, তাদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'আমাদের সারা দেশে যে প্রশাসনের কর্মকর্তারা আছেন, তারা আন্তরিকভাবে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘরগুলো তৈরি করে দিয়েছেন। এর ফলে সেই অফিসারদের চোখে-মুখে অনেক তৃপ্তি দেখা যায়। আমরা চাই দেশের মানুষ উন্নত জীবন পাক, সুন্দর জীবন পাক, সেটাই আমাদের লক্ষ্য। সেই লক্ষ্য নিয়ে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। যারা নতুন কর্তব্য নিয়ে যাবেন, তারা এ বিষয়টির দিকে নজর দেবেন।'

'জনগণের সেবায় নিয়োজিত দক্ষ পেশাদার মনোভাবসম্পন্ন জনপ্রশাসন করাই আমাদের লক্ষ্য। জনপ্রশাসন নামটা আমি পরিবর্তন করে রেখেছি। আগে কিন্তু অন্য নাম ছিল। জনগণকে সেবা দেওয়াটা আমাদের সাংবিধানিক কর্তব্য। সবার এটা মাথার মধ্যে রাখতে হবে। জাতির পিতার আদর্শ বুকে নিয়ে আপনার কাজ করবেন', বলেন তিনি।

'সিক্রেট ডকুমেন্টস অব ইন্টেলিজেন্স ব্রাঞ্চ অন ফাদার অব দ্য ন্যাশন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান' বইয়ের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'আমি একটা কাজ করেছি। এটা মনে হয় পৃথিবীতে বিরল, যেটা আর কেউ কখনো করে নাই। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তান হওয়ার পর থেকে যখন ভাষা আন্দোলন শুরু করেন, তখন থেকেই পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা তার বিরুদ্ধে রিপোর্ট লেখা শুরু করে। আমি অনেক নেতার বিরুদ্ধে রিপোর্ট খুঁজে দেখেছি, সেখানে কোনো কিছু পাইনি। রিপোর্টগুলো থেকে গিয়েছিল। সেই রিপোর্টগুলো কখনো নষ্ট করা হয়নি। সেটা ছিল আমাদের ইন্টেলিজেন্স ব্রাঞ্চ এসবির কাছে। আমি সব রিপোর্টগুলো সংগ্রহ করি। সেখানে প্রায় ৪৫ হাজার পেপার ছিল এবং আমি নিজেই এবং আমার সঙ্গে আমার এক বান্ধবী ছিল, আমরা সেটা দেখি।'

'তখন আমি সিদ্ধান্ত নেই, সেটা আমি প্রকাশ করব। কারণ কোনো নেতার বিরুদ্ধে কোনো রিপোর্ট কখনো প্রকাশ হয়নি, প্রচার হয়নি। প্রায় ২০ বছর কাজ করে আমরা আজ সেগুলো প্রচার করছি। ইতোমধ্যে ১১ খণ্ড বের হয়েছে। মোট ১৪ খণ্ড হবে। সেখানে যতটুকু যা করার, আমি করেছি। তারা যেভাবে রিপোর্ট লিখেছে, অনেক জায়গায় ভুল বানান, ভুল বাক্য। আমি সেগুলো নষ্ট করিনি। আমি সেভাবেই রেখেছি। কারণ এগুলো ডকুমেন্টস। ডকুমেন্টস ডকুমেন্টস হিসেবেই থাকবে।'

তিনি আরও বলেন, 'এই ডকুমেন্টসগুলোতে যদি একটু চোখ বুলানো যায়, তবে বাংলাদেশের ইতিহাস জানা যাবে, সংগ্রাম সম্পর্কে জানা যাবে, বাংলাদেশ সম্পর্কে জানা যাবে। বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে জাতির পিতা যে বক্তব্যগুলো দিয়েছিলেন, ইন্টেলিজেন্স সেগুলো তাদের মতো করে লিখেছে। তবুও সেখান থেকে অনেক তথ্য পাওয়া যাবে। যেটা আমি মনে করি। এগুলো দেশ পরিচালনা ও দায়িত্ব পালনে অনেক বেশি উপকার আসবে।'

Comments

The Daily Star  | English
Bangladeshi-Americans eager to help build new Bangladesh

July uprising and some thoughts of Bangladeshi-Americans

NRBs gathered in New Jersey showed eagerness to assist in the journey of the new Bangladesh forward.

4h ago