মন্ত্রীবচন

পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন, পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ ও স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলাম।

বৈশ্বিক করোনা মহামারির কারণে আয় কমে যাওয়ায় দেশের সাধারণ মানুষের ধারদেনার জীবনযাপনে টানাপোড়েন চলছিল আগ থেকেই। এই টানাপোড়েনের ভেতর নিত্যপণ্যের মূল্য ধাপে ধাপে বেড়ে চলায় সংসার চালাতে গিয়ে এমনিতেই দিশেহারা অবস্থা নিম্ন ও মধ্যবিত্ত পরিবারগুলোর।

এরমধ্যে জ্বালানি তেলের দাম একলাফে প্রায় ৫০ শতাংশ বাড়িয়েছে সরকার। যার প্রভাবে ১ হালি ডিমের দাম এখন ৫০ টাকা। চালের দাম বাড়ার যে গতি, তাতে ভাতের চিন্তায় হাভাতে মানুষের ঘুম হারাম হওয়ার দশা। দামের তাপে তেতে ওঠা তেল-তরিতরকারিসহ অন্যান্য নিত্যপণ্যেও হাত ছোঁয়ানো দায়।

এমন পরিস্থিতিতেও সরকারের মন্ত্রীরা দিব্যি উন্নয়নের ফিরিস্তি দিয়ে যাচ্ছেন। আমজনতাকে 'আশ্বস্ত' করার জন্য তাদের দেওয়া বক্তব্য বুমেরাং হয়ে ঘুরপাক খাচ্ছে ফেসবুকের দেয়াল, সংবাদপত্রের পাতা ও টেলিভিশনের পর্দায়। সম্প্রতি সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের কয়েকজন মন্ত্রীর এমন 'বচন' নিয়ে এই আয়োজন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন

'বৈশ্বিক মন্দায় অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশের মানুষ বেহেশতে আছে। বাংলাদেশ শ্রীলঙ্কা হয়ে যাবে; একটি পক্ষ প্যানিক ছড়ানোর জন্য এমন কথা বলে। বাস্তবে এর কোনো ভিত্তি নেই।'

পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান

'দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির বিষয়টি অস্বীকার করব না, কিন্তু এখনো কেউ জিনিসপত্রের দাম বাড়ায় মারা যায়নি। আশা করি মরবেও না।'

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল

'দারিদ্র্যের সঙ্গে যুদ্ধ করে আমরা এখানে এসেছি। ভবিষ্যতে আমাদের প্রজন্মের মতো লোকদের এগুলো (দারিদ্র্য) দেখতে মিউজিয়ামে যেতে হবে।'

তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ

'কেবল দেশ বদলে যায়নি। দেশের প্রত্যেকটি মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন হয়েছে। ছেঁড়া জামা গায়ে কাউকে দেখা যায়? না। আপনারা খালি পায়ের কাউকে দেখতে পান? পান না। উপর থেকে কোনো কুঁড়েঘর দেখতে পান? না।'

স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলাম

'আমাদের সক্ষমতা বেড়েছে। প্রত্যেকটি গ্রাম ও শহরে…কেউ না খেয়ে নেই। আল্লাহর রহমতে সবাই খেতে পারছে। সবার গায়ে জামা-কাপড় আছে।'

Comments

The Daily Star  | English

Teknaf customs in limbo as 19 mt of rice, authorised by AA, reaches port

The consignment of rice weighing 19 metric tonnes arrived at Teknaf land port on Tuesday evening with the documents sealed and signed by the Arakan Army

7h ago