রাষ্ট্র মেরামতের জন্য সবাইকে নিয়ে জাতীয় সরকার গঠন করব: ফখরুল
সরকার পতনের যুগপৎ আন্দোলনে গণঅধিকার পরিষদকে পাশে পাবে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)।
আজ বুধবার সকালে রেজা কিবরিয়ার নেতৃত্বাধীন গণঅধিকার পরিষদে সঙ্গে দেড় ঘণ্টা সংলাপ শেষে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ কথা জানান।
তিনি বলেন, 'আমরা আজ গণঅধিকার পরিষদের সঙ্গে আলোচনায় অত্যন্ত সন্তুষ্ট হয়েছি। খুশি হয়েছি যে তারা আমাদের সঙ্গে সবগুলো বিষয়ে একই মত ধারণ করেন। বিশেষ করে, এই সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচন নয়— সেই ব্যাপারে তারা একমত।'
তিনি আরও বলেন, 'আমরা এই বিষয়েও একমত হয়েছি যে, এই সরকারকে আর ক্ষমতায় থাকতে দেওয়া যায় না। কারণ এই সরকার অত্যন্ত সচতুরতার সঙ্গে এবং সচেতনভাবে বাংলাদেশের অর্জিত, আমাদের যেসব অর্জন ছিল, আমাদের গণতন্ত্র, আমাদের বাক স্বাধীনতা, আমাদের কথা বলার স্বাধীনতা, সাম্য ও সামাজিক মূল্যবোধ, সেই সঙ্গে ন্যায় বিচারের অধিকার—সব ধ্বংস করে দিয়েছে।'
'এই কারণে এই সরকারকে সরানোর জন্য জনগণকে সঙ্গে নিয়ে একটা ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের ব্যাপারে আমরা একমত হয়েছি। আমরা একমত হয়েছি, এই আন্দোলন আমরা যুগপৎ করব,' যোগ করেন তিনি।
সরকারের পদত্যাগ, সংসদ ভেঙে দেওয়া, নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার, নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন প্রভৃতি বিষয়ে গণঅধিকারের সঙ্গে ঐক্যমত হয়েছে উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, 'সকলের কাছে গ্রহণযোগ্য একটি নির্বাচন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে একটি জনগণের পার্লামেন্ট ও একটি সরকার গঠন করা, যে সরকার সত্যিকার অর্থে জনগণের প্রতিনিধিত্ব করবে।'
তিনি আরও বলেন, 'তারপরে আমরা রাষ্ট্র মেরামতের জন্য সবাইকে নিয়ে একটি জাতীয় সরকার গঠন করব। এ বিষয়টি আলোচনা মধ্যে আছে। যে বিষয়গুলো আমরা মনে করি পরিবর্তন হওয়া দরকার, সংস্কার হওয়া দরকার মেরামত করার জন্য সেগুলো মেরামত করার জন্য আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ করব।'
ড. রেজা কিবরিয়া বলেন, 'আমি আপনাদেরকে জানাতে চাই, খুব ইতিবাচক আলোচনা হয়েছে এবং আমরা অনেক ব্যাপারে একমত। এখানকার দেশের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার পর আমরা বুঝেছি যে, আমরা একই পথে, একই চিন্তায় আছি। "ওয়ে অন দ্য সেম পেইজ" যেটা ইংরেজিতে বলে। আমাদের খুব বেশি ব্যাপারে দ্বিমত নেই—এটা একটা খুশির খবর সব বিরোধী দলের জন্য এবং যারা বাংলাদেশে একটা পরিবর্তনের দিকে, পরিবর্তন চায় তাদের জন্য।'
১. সরকার পতনের আন্দোলনে একমত বিএনপি-গণঅধিকার পরিষদ
২. এই সরকারকে আর ক্ষমতায় থাকতে দেওয়া যায় না: ফখরুল
৩. রাষ্ট্র মেরামতের জন্য সবাইকে নিয়ে জাতীয় সরকার গঠন করব: ফখরুল
স্টার অনলাইন রিপোর্ট
সরকার পতনের যুগপৎ আন্দোলনে 'গণঅধিকার পরিষদ'কে পাশে পাবে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)।
আজ বুধবার সকালে রেজা কিবরিয়ার নেতৃত্বাধীন গণঅধিকার পরিষদে সঙ্গে দেড় ঘণ্টা সংলাপ শেষে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ কথা জানান।
তিনি বলেন, 'আমরা আজ গণঅধিকার পরিষদের সঙ্গে আলোচনায় অত্যন্ত সন্তুষ্ট হয়েছি। খুশি হয়েছি যে তারা আমাদের সঙ্গে সবগুলো বিষয়ে একই মত ধারণ করেন। বিশেষ করে, এই সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচন নয়— সেই ব্যাপারে তারা একমত।'
তিনি আরও বলেন, 'আমরা এই বিষয়েও একমত হয়েছি যে, এই সরকারকে আর ক্ষমতায় থাকতে দেওয়া যায় না। কারণ এই সরকার অত্যন্ত সচতুরতার সঙ্গে এবং সচেতনভাবে বাংলাদেশের অর্জিত, আমাদের যেসব অর্জন ছিল, আমাদের গণতন্ত্র, আমাদের বাক স্বাধীনতা, আমাদের কথা বলার স্বাধীনতা, সাম্য ও সামাজিক মূল্যবোধ, সেই সঙ্গে ন্যায় বিচারের অধিকার—সব ধ্বংস করে দিয়েছে।'
'এই কারণে এই সরকারকে সরানোর জন্য জনগণকে সঙ্গে নিয়ে একটা ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের ব্যাপারে আমরা একমত হয়েছি। আমরা একমত হয়েছি, এই আন্দোলন আমরা যুগপৎ করব,' যোগ করেন তিনি।
সরকারের পদত্যাগ, সংসদ ভেঙে দেওয়া, নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার, নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন প্রভৃতি বিষয়ে গণঅধিকারের সঙ্গে ঐক্যমত হয়েছে উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, 'সকলের কাছে গ্রহণযোগ্য একটি নির্বাচন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে একটি জনগণের পার্লামেন্ট ও একটি সরকার গঠন করা, যে সরকার সত্যিকার অর্থে জনগণের প্রতিনিধিত্ব করবে।'
তিনি আরও বলেন, 'তারপরে আমরা রাষ্ট্র মেরামতের জন্য সবাইকে নিয়ে একটি জাতীয় সরকার গঠন করব। এ বিষয়টি আলোচনা মধ্যে আছে। যে বিষয়গুলো আমরা মনে করি পরিবর্তন হওয়া দরকার, সংস্কার হওয়া দরকার মেরামত করার জন্য সেগুলো মেরামত করার জন্য আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ করব।'
ড. রেজা কিবরিয়া বলেন, 'আমি আপনাদেরকে জানাতে চাই, খুব ইতিবাচক আলোচনা হয়েছে এবং আমরা অনেক ব্যাপারে একমত। এখানকার দেশের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার পর আমরা বুঝেছি যে, আমরা একই পথে, একই চিন্তায় আছি। "ওয়ে অন দ্য সেম পেইজ" যেটা ইংরেজিতে বলে। আমাদের খুব বেশি ব্যাপারে দ্বিমত নেই—এটা একটা খুশির খবর সব বিরোধী দলের জন্য এবং যারা বাংলাদেশে একটা পরিবর্তনের দিকে, পরিবর্তন চায় তাদের জন্য।'
তিনি আরও বলেন, 'আমদের এই সরকারের অধীনে নির্বাচনে যাওয়ার কোনো পরিকল্পনা নেই এবং আওয়ামী লীগের অধীনে কোনো সুষ্ঠু নির্বাচন হয় আমরা সেটা মনে করি না। অনেক দলের সঙ্গে আলোচনা হচ্ছে, আরও হবে। একটা জাতীয় ঐক্য এই ব্যাপারে তৈরি করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। আমাদের ২ দলের অবস্থান খুব কাছাকাছি এবং আমরা একসঙ্গে কাজ করব এই স্বৈরাচার, দুর্নীতিবাজ ও ফ্যাসিস্ট সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করতে।'
নুরুল হক নূর বলেন, 'দেশের চলমান সংকটে রাজনৈতিক দলগুলোর করণীয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। চলমান সংকট থেকে উত্তরণে করণীয়গুলো যেভাবে আমরা দেখি তাতে বিএনপির সঙ্গে আমাদের খুব একটা পার্থক্য নেই। আজকের আলোচনায় আমাদের ১০টি বিষয় ছিল। সেই ১০টি বিষয়ে আমরা একমত পোষণ করেছি।'
তিনি আরও বলেন, 'বাংলাদেশে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রায় ৩৬ লাখ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে লাখো মামলা দেওয়া হয়েছে। আমাদের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াসহ অনেক ধর্মীয় নেতা, বরণ্যে ব্যক্তিদের মিথ্যা অভিযোগে গ্রেপ্তার করে রাখা হয়েছে। বেগম খালেদা জিয়াসহ সব রাজবন্দিদের মুক্তি এবং ধর্মীয় নেতাদের নিঃশর্ত মুক্তি ও মামলা প্রত্যাহারের বিষয়ে আমরা একমত হয়েছি।'
সরকার বিরোধী আন্দোলনে বৃহত্তর প্ল্যাটফর্ম গড়তে তুলতে বিএনপি গত ২৪ মে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ শুরু করে। এ পর্যন্ত বিএনপি ২২টি দলের সঙ্গে সংলাপ শেষ করেছে।
সেগুলো হচ্ছে—জেএসডি, গণফোরাম, নাগরিক ঐক্য, বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, গণসংহতি আন্দোলন, জাতীয় পার্টি (কাজী জাফর), লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি), ইসলামী ঐক্যজোট, কল্যাণ পার্টি, ন্যাশনাল পিপলস পার্টি (এনপিপি), লেবার পার্টি, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা), জাতীয় দল, মুসলিম লীগ, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম, সাম্যবাদী দল, ডেমোক্রেটিক দল (ডিএল), ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এনডিপি), ইসলামিক পার্টি, পিপলস লীগ, ন্যাপ-ভাসানী ও বাংলাদেশ ন্যাপ।
Comments