ঢাকায় না ফিরে কানাডা গেলেন মরক্কোতে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত হারুন, পাসপোর্ট বাতিলের সিদ্ধান্ত

মোহাম্মদ হারুন আল রশিদ | ছবি: সংগৃহীত

মরক্কোতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ হারুন আল রশিদকে গত ১১ ডিসেম্বর দেশে ফিরে মন্ত্রণালয়ে যোগদানের আদেশ দিয়েছিল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

দেশে না ফিরে হারুন গত ২৭ ফেব্রুয়ারি দায়িত্ব ত্যাগ করেন। সূত্র জানিয়েছে, সম্প্রতি তিনি মরক্কোর রাবাত থেকে কানাডার অটোয়ায় চলে গেছেন।

আজ শুক্রবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তার পাসপোর্ট বাতিল করে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

এতে বলা হয়, বাংলাদেশে প্রত্যাবর্তন করে মন্ত্রণালয়ে যোগদানের পরিবর্তে হারুন আল রশিদ কানাডায় চলে যান এবং সেখান থেকে ফেসবুকে লেখালেখি শুরু করেন। তিনি তার ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে নিজেকে 'নির্যাতিত কূটনীতিক', 'নির্বাসিত ঔপন্যাসিক' ও 'ধর্মনিরপেক্ষ' হিসেবে উল্লেখ করেছেন, যা মূলত বিদেশে সহানুভূতি অর্জনের অভিপ্রায়ে করা হয়েছে।

আজ তিনি ফেসবুকে 'বাংলাদেশের জন্য এবং আমার নিজের জন্য একটি আবেদন বিষয়: ইউনূসের অধীনে বাংলাদেশের অরাজকতার অবতরণ - বিশ্বের নীরবতা বেদনাদায়ক' শীর্ষক একটি লেখা পোস্ট করেছেন। যেখানে তিনি পূর্ববর্তী নিপীড়ক ফ্যাসিবাদী সরকারের গুণকীর্তনের পাশাপাশি অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে গত ৫ আগস্ট পরবর্তী বাংলাদেশে পরিস্থিতি ক্রমশ নৈরাজ্যের দিকে ধাবিত হচ্ছে বলে চিত্রায়িত করার অপচেষ্টা করেছেন।

পোস্টে হারুন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ অন্তর্বর্তী সরকারের নেওয়া বিভিন্ন উদ্যোগ ও প্রচেষ্টাসহ বাংলাদেশের সামগ্রিক ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার অপচেষ্টা করেছেন।

ফেসবুকে এ ধরনের লেখা সম্পূর্ণভাবে অগ্রহণযোগ্য উল্লেখ করে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, এ ধরনের লেখার বিষয়বস্তু গভীরভাবে উদ্বেগজনক। এ ধরনের রচনা লেখকের গোপন উদ্দেশ্য বা অসৎ অভিসন্ধির ইঙ্গিত দেয়।

Comments

The Daily Star  | English

Consensus commission: Talks snag on women’s seats, upper house

The National Consensus Commission proposed establishing an upper house comprising elected representatives from each district and city corporation, and suggested abolishing the current system of reserved seats for women in parliament.

1h ago