ছিনতাই-চাঁদাবাজি হচ্ছে, যারা করছে তারা ধরাও পড়ছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, 'দেশে ছিনতাই, চাঁদাবাজি হচ্ছে এবং যারা করছে তারা ধরাও পড়ছে। ছাড়া পাওয়ার পর আবার তারা এসব করছে, এটা সত্যি কথা। আমরা চেষ্টা করছি যেভাবে হোক এটি কমিয়ে আনার জন্য।'
আজ রোববার কারাগারে জরুরি সেবা হটলাইন নাম্বার ০৯৬১২ এর উদ্বোধনের পর সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।
শীর্ষ সন্ত্রাসীরা জামিনে মুক্তি পেয়ে আবারও সন্ত্রাসী কার্যক্রমে জড়িয়ে পড়ছে, ঢাকা শহরে ভীতিকর পরিস্থিতির তৈরি হয়েছে-সাংবাদিকের এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, তাদের আবার ধরে তাড়াতাড়ি আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে। যেই ধরা পড়বে তাকেই আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে।
এসময় স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে পুলিশের স্বল্পতা আছে কিনা জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, 'পুলিশের স্বল্পতা নেই হয়তো কাজে আগের মতো উদ্যমটা নেই। তাদের কাজের উদ্যমটা যেন বাড়ানো যায় সেজন্য আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি।'
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট কারাগার ভেঙে পালিয়ে যাওয়া আসামিদের মধ্যে এখনো ৭০০ আসামিকে গ্রেপ্তার করা যায়নি বলে জানান তিনি।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জানান, প্রায় ৭০০ এর মতো এখনো বাইরে আছেন। আর যারা ছিল তাদের বন্দি করে কারাগারে রাখা হয়েছে।
৫ আগস্টের আগে ও পরে রাষ্ট্রপতির সাধারণ ক্ষমায় কত আসামি জেল থেকে মুক্তি পেয়েছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, সাধারণ ক্ষমায় কেউ কিন্তু কেউ বের হয়নি। জামিন পেয়েছে।
এর আগে কারাগারের জরুরি সেবা হটলাইন নাম্বার নিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, এর মাধ্যমে জনসাধারণ কারাগারে অন্তরীণ যেকোনো বন্দি সম্পর্কে যেসব বিষয় জানতে পারবেন সেগুলো হলো বন্দি হাজিরা তারিখ, বন্দি সাক্ষাতের তারিখ, ফোনে কথা বলার তারিখ, বন্দির শারীরিক অবস্থা সম্পর্কিত তথ্য, প্যারোলে মুক্তি সম্পর্কিত তথ্য এবং অভিযোগ ও পরামর্শ সম্পর্কিত তথ্য।
এর মাধ্যমে যেকোনো বন্দির আত্মীয়স্বজন এই সংবাদগুলো নিতে পারবেন, এই হটলাইন সবসময় খোলা থাকবে বলেও জানান তিনি।
তিনি জানান, 'এই হটলাইনে আমরা জুলাই-আগস্ট বিপ্লবে যারা আহত হয়েছেন আমরা তাদেরকে এখানে কর্মসংস্থানের চেষ্টা করব। তাদের একটা কর্মসংস্থানের যেন এখানে সুযোগ হয় এর ব্যবস্থা করব।'
Comments