মালয়েশিয়ার সঙ্গে ভারসাম্যপূর্ণ বাণিজ্য চায় বাংলাদেশ

ছবি: সংগৃহীত

দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য সম্পর্ক বৃদ্ধির পাশাপাশি ভারসাম্যপূর্ণ বাণিজ্য চায় বলে মালয়েশিয়াকে জানিয়েছে বাংলাদেশ।

আজ সোমবার বিকেলে সচিবালয়ে ঢাকায় মালয়েশিয়ার হাইকমিশনার মোহাম্মদ শুহাদা ওথমানের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন এ কথা জানিয়েছেন।

এ সময় তারা দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য এবং ভবিষ্যৎ বিনিয়োগ সম্ভাবনা নিয়ে কথা বলেন।

বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধিতে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশ ইতোমধ্যে কোরিয়া, জাপান ও সিঙ্গাপুরের সঙ্গে মুক্তি বাণিজ্য চুক্তির লক্ষ্যে আলোচনা শুরু করেছে। মালয়েশিয়া ও বাংলাদেশের বাণিজ্য বৃদ্ধির জন্য দ্রতই আলোচনা শুরু করা দরকার। এতে দুদেশই উপকৃত হবে।

বতর্মান প্রেক্ষাপটে মালয়েশিয়া ও বাংলাদেশের মধ্যে বহুবিধ দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদার করার উপযুক্ত পরিবেশ রয়েছে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের রিজার্ভের একটি বড় অংশ আসে মালয়েশিয়ায় অবস্থানরত প্রবাসীদের পাঠানো রেমিটেন্স থেকে। দক্ষ জনশক্তির রপ্তাণির মাধ্যমে আমরা সেখানে শক্ত অবস্থান তৈরি করতে চাই।

এ সময় তিনি বাংলাদেশে স্পেশাল ইকনোমিক জোনে আরও বেশি মালয়েশিয়ান বিনিয়োগের আহ্বান জানান।

পামওয়েল রপ্তানি বাড়ানোর আহ্বান জানিয়ে বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, রমজান মাসে বাংলাদেশে ভোজ্যতেলের চাহিদা বেড়ে যায়। দেশে পামওয়েলর চাহিদাও রয়েছে।

মালয়েশিয়ার হাইকমিশনার বলেন, মালয়েশিয়া ইলেকট্রিক চিপস ও সেমিকন্ডাক্টর খাতে বিপুল বিনিয়োগ করেছে। এখাতে সেমি কন্ডাক্টর ডিজাইনারসহ প্রচুর দক্ষ জনবল প্রয়োজন।

দক্ষতা অর্জন করলে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের মালয়েশিয়ায় কাজের সুযোগ আছে জানিয়ে তিনি দক্ষ মানবসম্পদ তৈরিতে সহযোগিতা বাড়ানোরও প্রতিশ্রুতি দেন।

শুহাদা ওথমান বলেন, বিশ্বব্যাপী হালাল খাবারের জনপ্রিয়তা বাড়ছে। মালয়েশিয়ায় হালাল খাবারের ১১৩ বিলয়ন ডলারের বাজার রয়েছে। ২০৩১ সালে বিশ্বে এই বাজারের আকার ছয় ট্রিলিয়ন ডলারে দাঁড়াবে। মুসলিম দেশ হিসেবে বাংলাদেশের উচিত হালাল ফুডের বাজার লক্ষ্য করে প্রস্তুতি নেওয়া।

উল্লেখ্য, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়ার মধ্যকার দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ছিল দুই হাজার ৮৭৮ দশমিক ২০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। যার মধ্যে মালয়েশিয়া থেকে বাংলাদেশ দুই হাজার ৫৮৩ দশমিক ৭০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য আমদানি করে এবং ২৯৪ দশমিক ৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য রপ্তানি করে।

Comments

The Daily Star  | English

BB keeps policy rate unchanged 

BB has kept its policy rate unchanged for the second half of this year

6m ago