আলিয়া মাদ্রাসার মাঠ থেকে আদালত সরাতে বিচারকের গাড়ি আটকে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

ঢাকায় আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে অস্থায়ী আদালতের এক বিচারকের গাড়ি ঘিরে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ। ছবি: এমরান হোসেন/স্টার

ঢাকার পিলখানায় বিডিআর হত্যাকাণ্ডের বিচারের জন্য বকশীবাজারে আলিয়া মাদ্রাসায় যে অস্থায়ী আদালত স্থাপন করা হয়েছিল তা সরিয়ে নিতে বিক্ষোভ করেছেন প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষার্থীরা।

আজ সকালে মাদ্রাসার কয়েকশ শিক্ষার্থী আলিয়া মাদ্রাসার সামনে সড়কে বিক্ষোভ করেন। শিক্ষার্থীরা সাড়ে ১১টার দিকে বিচারক ইব্রাহিম মিয়ার গাড়ি আটকে দেন। পরে তারা রাস্তা ছেড়ে দিলে বিচারক তার অফিসে যান। তিনি আদালতে কিছুক্ষণ অবস্থান করার পর আবার বের হয়ে যান।

মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের দাবি, মাদ্রাসা মাঠে বিচারকাজ চলায় তাদের শিক্ষা কার্যক্রমে বিঘ্ন ঘটছে। তারা চান আদালত এখানে সরিয়ে কেরানীগঞ্জ কারাগারে নেওয়া হোক।

এর আগে আজ ভোরে বিশেষ আদালতের একটি কক্ষে আগুন দেওয়া হয়। আগুনে আদালতের নথি ও আসবাবপত্র পুড়ে যায়।

ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স সদর দপ্তরের ডিউটি অফিসার লিমা খানম সকালে দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, ভোর ৪টা ২২ মিনিটে তারা আগুন লাগার খবর পান। আগুন নেভানোর জন্য দুটি ইউনিট পাঠানো হয়।

বিডিআর হত্যাকাণ্ডে বিস্ফোরক আইনে দায়ের করা একটি মামলার শুনানির জন্য সকালে অস্থায়ী আদালতে আসেন ঢাকার মহানগর বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক।

আদালতের এক কর্মচারী জানান, আগুনে সম্পূর্ণভাবে আদালতকক্ষ পুড়ে যাওয়ায় বিচার কার্যক্রম চালানো যায়নি। বিচারক দুপুর ১২টা ১০ মিনিটের দিকে আদালত ত্যাগ করেন।

চকবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রেজাউল হোসেন জানান, আগুনের কারণ জানতে তারা বিষয়টি তদন্ত করছেন।

আগুনে পুড়ে গেছে আলিয়া মাদ্রাসার মাঠে অস্থায়ী বিশেষ আদালতের ভেতরের জিনিসপত্র। ছবি: এমরান হোসেন/স্টার

আলিয়া মাদ্রাসা এলাকায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করছেন সেনবাহিনী ও পুলিশ সদস্যরা। তারা শিক্ষার্থীদের বুঝিয়ে সড়ক থেকে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছেন।

এদিকে, পিলখানা হত্যাকাণ্ডে হওয়া মামলায় দণ্ডিত বিডিআর সদস্যদের কারামুক্তি, মামলার পুনঃ তদন্ত ও ন্যায়বিচার নিশ্চিত এবং চাকরিচ্যুতদের পুনর্বহাল ও পুনর্বাসনের দাবিতে গতকাল সকাল থেকে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্যসহ ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্য ও স্বজনেরা।

শাহবাগ অবরোধ করারও ঘোষণা দিয়েছেন চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্যরা।

২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি তৎকালীন সীমান্তরক্ষী বাহিনী বাংলাদেশ রাইফেলসের (বিডিআর) সদর দপ্তর পিলখানায় ৫৭ সেনা কর্মকর্তাকে হত্যা করা হয়। ওই ঘটনার পর বাহিনীর নাম পরিবর্তন করে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) করা হয়েছে।

Comments

The Daily Star  | English

JnU protests called off

Students and teachers of Jagannath University called off their protest last night after receiving assurances from the government that their demands would be met.

1h ago