চিন্ময় দাসের জামিন নামঞ্জুর, উচ্চ আদালতে যাওয়ার ঘোষণা আইনজীবীদের

চিন্ময় দাসের জামিন নামঞ্জুর
চিন্ময় কৃষ্ণ দাস। ছবি: সংগৃহীত

প্রাক্তন ইসকন নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেছেন আদালত। আজ বৃহস্পতিবার সকালে চট্টগ্রামের মহানগর দায়রা জজ সাইফুল ইসলাম দুই পক্ষের যুক্তিতর্ক শুনে জামিন নামঞ্জুর করেন।

চট্টগ্রাম মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মফিজুল হক ভূইয়া দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, জামিন আবেদনের ওপর আধা ঘণ্টা ধরে শুনানি হয়েছে। আদালত দুই পক্ষেরই যুক্তিতর্ক শুনেছেন। পরে বিচারক জামিন নামঞ্জুরের আদেশ দেন।

এই শুনানিকে কেন্দ্র করে আদালত এলাকায় নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ব্যাপক ব্যবস্থা নেওয়া হয়। বিচারপ্রার্থীদের আদালত প্রাঙ্গণে ঢোকার আগে কাগজপত্র যাচাই করা হয়। আদালতের দুটি ঢোকা ও বেরোনোর পথে বিপুল সংখ্যক পুলিশ, বিজিবি ও সেনাসদস্য মোতায়েন করা হয়।

শুনানিতে চিন্ময়ের পক্ষে ছিলেন অপূর্ব কুমার ভট্টাচার্যের নেতৃত্বে সুপ্রিম কোর্টের ১১ আইনজীবীর একটি দল। পৌনে ১২টার দিকে আদালত কক্ষ থেকে বের হয়ে এই আইনজীবী বলেন, আদালতকে আমরা সাবমিশন দিয়েছি। সবকিছু শোনার পরে আদালত জামিন নামঞ্জুর করেছেন। আমরা এখন উচ্চ আদালতে যাব।

ইসকন নেতা চিন্ময় দাসের জামিন
আদালত থেকে পুলিশের পাহারায় বের হয়ে আসেন চিন্ময়ের আইনজীবীদের দল। ছবি: স্টার

চিন্ময়ের আইনজীবীরা পুলিশি পাহারায় আদালত থেকে বের হয়ে গাড়িতে ওঠেন। এ সময় আদালত প্রাঙ্গণে ৫০-৬০ জন আইনজীবী তাদের 'দালাল' বলে স্লোগান দেন। তারা আইনজীবীর সাইফুল ইসলাম আলিফের হত্যাকারীদের ফাঁসি চেয়েও বিভিন্ন স্লোগান দেন।

গত ২৫ অক্টোবর চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের নেতৃত্বে চট্টগ্রামে সনাতনী সম্প্রদায়ের একটি বড় সমাবেশ হয়। এর কয়েক দিন পর গত ৩১ অক্টোবর তার বিরুদ্ধে জাতীয় পতাকা অবমাননার অভিযোগে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা হয়। এ মামলায় আরও ১৮ জনকে আসামি করা হয়।

গত ২২ নভেম্বর চিন্ময়ের নেতৃত্বে রংপুরে আরও একটি বড় সমাবেশ হয়। এরপর রাষ্ট্রদ্রোহের সেই মামলায় চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে গত ২৫ নভেম্বর ঢাকায় গ্রেপ্তার করা হয়। পরদিন জামিন আবেদন করা হলে তা নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট।

আদালত চিন্ময়কে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিলে সেদিন চট্টগ্রামে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও আইনজীবীদের সঙ্গে চিন্ময়ের অনুসারীদের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। এ সময় আইনজীবীর সাইফুল ইসলাম আলিফকে আদালত চত্বরের বাইরে কুপিয়ে হত্যা করা হয়।

এর পর থেকে কারাগারে আছেন চিন্ময়।

Comments

The Daily Star  | English

BNP hails AL ban, urges speedy trials

Fakhrul seeks election roadmap, citing public frustration over the lack of democratic process

17m ago