গাজী টায়ারস কারখানায় আগুনে নিখোঁজ স্বজনদের বিক্ষোভ

ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ সংযোগ সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন গাজী টায়ারস কারখানায় আগুনে নিখোঁজ স্বজনেরা। ছবি: সংগৃহীত

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে গাজী টায়ারস কারখানায় লুটপাটের পর আগুন দেওয়ার ঘটনায় নিখোঁজদের সন্ধান চেয়ে বিক্ষোভ করেছেন তাদের পরিবারের সদস্যরা।

রোববার দুপুরে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ করেন তারা। এ সময় তারা নিখোঁজ ব্যক্তিদের ছবি ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ সংযোগ সড়কটিও অবরোধ করেন।

প্রায় আধ ঘণ্টা তারা সড়কে অবস্থান করেন। এসময় যানজট দেখা দেয়৷ পরে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জাফর সাদিক বিক্ষোভরত স্বজনদের বুঝিয়ে সড়ক থেকে সরিয়ে দেন। স্বজনদের নিয়ে পরে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে আলোচনা করেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আলমগীর হুসাইন।

শিক্ষার্থী-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মুখে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর গত ২৫ আগস্ট গাজী টায়ারসে লুটপাটের পর আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা৷ টানা পাঁচদিন ধরে আগুন জ্বলে এ কারখানায়।

কারখানাটির মালিক আওয়ামী লীগের সাবেক মন্ত্রী ও সংসদ সদস্য গোলাম দস্তগীর গাজী।

গত ১২ সেপ্টেম্বর জেলা প্রশাসনের এক তদন্ত প্রতিবেদনে এ অগ্নিকাণ্ডে ১৮২ জন নিখোঁজ রয়েছেন বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

নিখোঁজ সন্ধান চেয়ে বিক্ষোভের সময় তাদের স্বজনরা বলেন, আগুনের ঘটনার চার মাস পেরিয়ে গেলেও নিখোঁজদের কোনো সন্ধান দিতে পারেনি সরকারি কোনো সংস্থা। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় তাদের মৃত্যু হয়েছে কিনা সে ব্যাপারে নিশ্চিত করে কিছু বলছে না প্রশাসনের লোকজন। কারখানার ভেতরে দেহাবশেষ কিছু আছে কিনা সে ব্যাপারেও অনুসন্ধান চালানো হয়নি।

নিখোঁজদের সন্ধান দিতে প্রশাসন অবহেলা করছে বলেও অভিযোগ করেন তাদের স্বজনরা।

এ ব্যাপারে পরে জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ মাহমুদুল হক সাংবাদিকদের বলেন, গাজী টায়ারসে আগুনের ঘটনায় অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে প্রধান করে ৮ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছিল। সেই তদন্ত কমিটি ১৮২ জন নিখোঁজের একটি তালিকা তৈরি করেছে।

'তাদের ভাগ্যে আসলে কি ঘটেছে সেটা যাচাই-বাছাই করার জন্য পুলিশ সুপারের কাছে পাঠানো হয়েছে,' বলেন তিনি।

জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) প্রত্যুষ কুমার মজুমদার বলেন, গাজী টায়ারসে আগুনের ঘটনায় একটি জিডি দায়ের হয়েছিল এবং জেলা প্রশাসনের একটি তদন্ত কমিটিও প্রতিবেদন দিয়েছে। সে বিষয় নিয়ে আমাদের তদন্ত কার্যক্রম চলমান রয়েছে। ডিএনএ প্রতিবেদনের জন্য পাঠানো হয়েছে। তদন্ত শেষ হলে বিস্তারিত জানানো হবে।'

Comments

The Daily Star  | English

Hasina regime silenced media

Chief Adviser's Press Secretary Shafiqul Alam yesterday said steps must be taken to ensure that no one can directly interfere with the media in the future like it was done during the ousted Sheikh Hasina government.

3h ago