সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ ২০২৪ জারির আগে পর্যাপ্ত পর্যালোচনার সুপারিশ টিআইবির

ছবি: সংগৃহীত

'সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ, ২০২৪' জারি করার আগে সংশ্লিষ্টজন কর্তৃক খসড়া পর্যালোচনা ও অন্তর্ভুক্তিমূলক অংশগ্রহণ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার জন্য কমপক্ষে এক মাস সময় নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।

সংস্থাটির পক্ষ থেকে বলা হয়, এ অধ্যাদেশ সংশ্লিষ্ট অংশীজন কর্তৃক পর্যাপ্ত বিশ্লেষণ অন্তর্ভুক্তিমূলক পর্যালোচনা ছাড়া জারি করা হলে এর মূল উদ্দেশ্যকে ব্যাহত করার ঝুঁকি থাকবে।

আজ মঙ্গলবার টিআইবি থেকে দেওয়া সংবাদি বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়েছে, এ প্রসঙ্গে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে গত রোববার আনুষ্ঠানিকভাবে সুপারিশ জানিয়েছে টিআইবি।

সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান চিঠিতে বলেন, 'ভিন্নমত দমন ও গণমাধ্যমের কণ্ঠরোধের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহৃত হওয়া সাইবার নিরাপত্তা আইন বাতিলের সিদ্ধান্ত সব নাগরিকের মনে স্বস্তির সঞ্চার করেছে, যা অন্তর্বর্তী সরকারের জনকল্যাণমুখী পদক্ষেপের অন্যতম। বাক ও মত প্রকাশের স্বাধীনতা ক্ষুণ্ন করে এমন আইন বাতিল করে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের আইন ও বিধি শাখা থেকে "সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ, ২০২৪" এর খসড়া প্রস্তুত করা হয়েছে। এ অধ্যাদেশ সাইবার নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ এবং সাইবার অপরাধ প্রতিরোধ ও দমন এবং সাইবার অপরাধ তদন্ত ও বিচারিক কার্যক্রম সম্পাদনের জন্য প্রয়োজনীয় বিধান প্রণয়নের উদ্দেশ্যে প্রণীত হবে বলে টিআইবি আশা করে। তা ছাড়া, পূর্ববর্তী ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, সাইবার নিরাপত্তা আইনের মতো নাগরিকের বাক ও মত প্রকাশে বাধা সৃষ্টি করার আশঙ্কা এ অধ্যাদেশে থেকে যাওয়ার সুযোগ আছে কি না, তা যথাযথ পর্যালোচনার দাবি রাখে।'

টিআইবির নির্বাহী পরিচালক আরও বলেন, 'এই খসড়া পর্যালোচনার জন্য মাত্র তিন কর্মদিবসের জন্য ওয়েবসাইটে উন্মুক্ত করা হয়েছিলো, যা শেষ হয়েছে এবং তা ইতোমধ্যে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। এমনকি গত ১২ ডিসেম্বর  উপদেষ্টা পরিষদ কর্তৃক খসড়ার প্রাথমিক অনুমোদন দেওয়া হয়েছে বলে গণমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে। "সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ, ২০২৪" এর মতো অতি গুরুত্বপূর্ণ এই অধ্যাদেশ সংশ্লিষ্ট অংশীজনকর্তৃক পর্যাপ্ত বিশ্লেষণ অন্তর্ভুক্তিমূলক পর্যালোচনা ছাড়া জারি করা হলে এর মূল উদ্দেশ্যকে ব্যাহত করার ঝুঁকি থাকবে। এমন অবস্থায় সংশ্লিষ্ট সব অংশীজন ও বিশেষজ্ঞদের পর্যালোচনার জন্য কমপক্ষে এক মাস সময় বৃদ্ধি এবং তার বিশ্লেষণের ওপর ভিত্তি করে অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রক্রিয়ায় সম্পন্ন করে অধ্যাদেশটি জারির আহ্বান জানাচ্ছি।'

Comments

The Daily Star  | English

Polythene ban: A litmus test for will and eco-innovation

Although Bangladesh became the first country in the world to announce a complete ban on the use of polythene bags in 2002, strict enforcement of the much-lauded initiative has only started taking shape recently.

15h ago