১০ এর মধ্যে আমি খুব বেশি হলে ৪ দেব নিজেকে: আসিফ নজরুল

আসিফ নজরুল। ফাইল ছবি

আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল অন্তর্বর্তী সরকারে প্রথম একশ দিনের দায়িত্ব পালনের বিষয়ে নিজেকে দশের মধ্যে চার দেবেন বলে জানিয়েছেন।

আজ মঙ্গলবার সচিবালয়ে দায়িত্ব গ্রহণের প্রথম ১০০ দিনে আইন মন্ত্রণালয়ের কর্মকাণ্ড নিয়ে সংবাদ ব্রিফিংয়ে এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, 'যে কাজগুলো করতে পারিনি সেটা আমার অভিজ্ঞতার ঘাটতি আছে বা হয়তো আমার যোগ্যতারও ঘাটতি আছে। কিন্তু বারবার একটা কথা বলি আমার প্রচেষ্টার ঘাটতি নাই। এবং আমি কোনোদিনও সন্তুষ্ট না আমার কাজে। আল্লাহর কাছে দোয়া করি আমার জন্য কাজটা সহজ করে দাও আমি যেন আরও কাজ করতে পারি। দশের মধ্যে আমি খুব বেশি হলে চার দেব নিজেকে।'

এসময় আমলাতান্ত্রিক জটিলতা নিয়েও কথা বলেন তিনি।

আইন উপদেষ্টা এসময় ১ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমনে দায়ের করা প্রায় সব ফৌজদারি মামলা প্রত্যাহার করা হয়েছে বলে জানান।

তিনি আরও বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সাইবার নিরাপত্তা আইনকে প্রস্তাবিত সাইবার সুরক্ষা আইনে প্রতিস্থাপনের প্রস্তুতি নিচ্ছে।

তিনি জানান, বিচার প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করতে বিচারপতি, অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয়ের কর্মী এবং আইন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাসহ ৪ হাজার ৩০০ জনকে নিয়োগের ব্যবস্থা করেছে মন্ত্রণালয়।

এসব নিয়োগের ফলে যারা মিথ্যা ও ভিত্তিহীন অভিযোগে হয়রানির শিকার হয়েছেন তাদের বিরুদ্ধে হওয়া মামলা প্রত্যাহার সহজ হবে বলেও জানান তিনি।

উপদেষ্টা উল্লেখ করেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইন-১সহ বেশ কিছু আইনকে আন্তর্জাতিক মানের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ করার জন্য সংশোধনী আনা হয়েছে।

তিনি আরও জানান, প্রস্তাবিত সংশোধনীগুলি আগামীকাল উপদেষ্টা পরিষদে উপস্থাপন করা হবে।

আইন উপদেষ্টা আরও বলেন, সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি নিয়োগের জন্য বিধিমালার খসড়া তৈরি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, নিম্ন আদালতের অধিকাংশ বিচারক তাদের সম্পদের বিবরণী মন্ত্রণালয়ে জমা দিয়েছেন।

উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যরাও শিগগিরই তাদের সম্পদের হিসাব জমা দেবেন বলেও জানান তিনি।

জনসাধারণের উদ্বেগকে কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, যারা আন্দোলন চালিয়ে রাস্তা ব্লক করে অসহনীয় যানজট তৈরি করে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করে তাদের প্রতিরোধে সবার এগিয়ে আসা উচিত।

শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, 'ওভারনাইট একটা কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয় বানিয়ে দিতে বলা হবে, এইচএসসি পরীক্ষা দেব না আমার রেজাল্ট বদলে দিতে হবে। একটু কঠোর পদক্ষেপ নিলেও সবাই সমালোচনা করা শুরু করে।'

Comments

The Daily Star  | English

Leather legacy fades

As the sun dipped below the horizon on Eid-ul-Azha, the narrow rural roads of Kalidasgati stirred with life. Mini-trucks and auto-vans rolled into the village, laden with the pungent, freshly flayed cowhides of the day’s ritual sacrifices.

17h ago