শাহজালালে প্রবাসীদের জন্য ডেডিকেটেড লাউঞ্জ উদ্বোধন করলেন প্রধান উপদেষ্টা

অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস, প্রধান উপদেষ্টা, শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, প্রবাসী,
শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অভিবাসী শ্রমিকদের জন্য বিশেষ লাউঞ্জ উদ্বোধন করেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। ছবি: সংগৃহীত

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস আজ সোমবার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অভিবাসী শ্রমিকদের জন্য একটি বিশেষ লাউঞ্জ উদ্বোধন করেছেন।

এ সময় তিনি বলেন, 'আমাদের প্রবাসী শ্রমিকরা দেশ গড়ার কারিগর। জুলাই-আগস্টের গণ-অভ্যুত্থানে তারা বড় ভূমিকা পালন করেছিল। আমরা তাদের কাছে সবসময় কৃতজ্ঞ।'

'আমরা বিশ্বাস করি, এই লাউঞ্জ তাদের ভ্রমণকে সহজ করবে,' বলেন তিনি।

বাসসের প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রবাসীরা বিমানবন্দরে যথাযথ সম্মান ও সেবা পান না বলে আক্ষেপ প্রকাশ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, 'আপনাদের দিয়ে তো দেশ চলে। আপনাদের মাথায় করে রাখা উচিত। অথচ আপনাদের সঙ্গে বিমানবন্দরে এমনভাব দেখানো হয়, যেন আপনারা অপরাধী। ভাবখানা এমন যে, ''তোমরা টাকা রোজগার করতেছো আমাদের কী? তোমাদের ব্যাপার, আমাদের কী?''

প্রবাসীদের উপার্জিত অর্থ যথার্থভাবে দেশের কাজে লাগানোর ওপর গুরুত্বারোপ করে সরকার প্রধান বলেন, 'প্রবাসীরা টাকা যেটা রোজগার করছে, সেটা তো বাংলাদেশের জন্য রোজগার করছে। প্রবাসীরা কষ্ট করে টাকা রোজগার করে আনছেন। আর এই কষ্টার্জিত টাকা কেউ বিদেশে পাচার করছে। এটা আমাদের দুর্ভাগ্য। সেখান থেকে আমাদের ফিরে আসতে হবে, আমাদের দেশের টাকা যেন দেশে থাকে, দেশের কাজে লাগে।'

প্রবাসী কর্মীরা দেশ গড়ার কারিগর অভিহিত করে ড. ইউনূস বলেন, 'আমাদের প্রবাসী কর্মীরা দেশ গড়ার কারিগর। জুলাই-আগস্টের গণ-অভ্যুত্থানে তারা বড় ভূমিকা পালন করেছে। আমরা তাদের কাছে সবসময় কৃতজ্ঞ। আমরা বিশ্বাস করি, এই লাউঞ্জ তাদের ভ্রমণকে সহজ করবে।'

তিনি বলেন, 'বিমানবন্দর আমাদের সবাইকে ব্যবহার করতে হয়। আমাকেও প্রায় আসা-যাওয়া করতে হয়। মনে খুব কষ্ট হয় যখন দেখি প্রবাসীদের যাওয়া আসায় কত কষ্ট হচ্ছে।'

প্রবাসীদের জন্য সরকারের সেবা সহজ করার ওপর গুরুত্বারোপ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, প্রবাসীদের জন্য এখন ই-পাসপোর্ট দিতে হবে। ছাপা পাসপোর্ট দরকার নেই। পাসপোর্ট আপনার ফোনে চলে আসবে সেই ব্যবস্থা করতে হবে। অফিসে যেন যেতে না হয়।

তিনি বলেন, আমার এখন আর সরকারি অফিসে যেতে চাই না। বাড়িতে যেন সেবা পৌঁছে দেওয়া যায়।

হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরে এটিই প্রথম প্রবাসী লাউঞ্জ। এখানে বাংলাদেশি অভিবাসী শ্রমিকদের বিশ্রামের জন্য জায়গা ও সুলভ মূল্যে খাবার পাওয়া যাবে। সুলভ মূল্যে খাবার পরিবেশনের জন্য ভর্তুকি দেবে সরকার।

এ সময় সেখানে আইন ও প্রবাসী কল্যাণ উপদেষ্টা আসিফ নজরুল এবং আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশে নিযুক্ত আইওএম মিশনের ডেপুটি চিফ ফাতিমা নুসরাত গাজালি জানান, জাতিসংঘ বাংলাদেশি অভিবাসী শ্রমিকদের সহায়তা করতে লাউঞ্জটিকে স্পন্সর করেছে।

'এটি প্রধান উপদেষ্টার একটি উদ্যোগ। আমরা এই উদ্যোগকে সমর্থন করতে পেরে আনন্দিত। এছাড়া, বিমানবন্দরে অভিবাসীদের সাহায্য করতে আইওএম প্রায় ১০০ স্বেচ্ছাসেবককে স্পন্সর করছে,' বলেন তিনি।

Comments

The Daily Star  | English

Fulfilling sky-high expectations Yunus govt’s key challenge

Says ICG report on completion of interim govt’s 100 days in office

2h ago