আমাদের এখনই রাজনৈতিক দল গঠনের ইচ্ছা নেই: আসিফ মাহমুদ

আসিফ মাহমুদ। ছবি: সংগৃহীত

অন্তর্বর্তী সরকারের যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ বলেছেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে নতুন রাজনৈতিক দল গঠনের সম্ভাবনা নেই।

আজ মঙ্গলবার রাজশাহীতে জাতীয় পেশাগত স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তাবিষয়ক গবেষণা এবং প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের উদ্বোধনের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।

আসিফ মাহমুদ বলেন, 'অনেকেই আমাদের কাছ থেকে জানতে চান,  রাজনৈতিক দল গঠনের বিষয়ে রিউমার বা কথাবার্তা শোনা যাচ্ছে। আমরা আগেই স্পষ্ট করে দিয়েছি যে আমাদের (বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের) এখনই কোনো রাজনৈতিক দল গঠনের কোনো ইচ্ছা নেই।'

তিনি বলেন, 'অন্তর্বর্তী সরকারের সবার পেশাগত জীবন ছিল এবং তারা সেখানেই ফিরে যেতে চান।'

'দেশের মানুষ গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে এই অন্তর্বর্তী সরকারকে দায়িত্ব দিয়েছিল। জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটিয়ে একটি নির্বাচনের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করাই আমাদের লক্ষ্য,' বলেন আসিফ।

যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা বলেন, 'স্বৈরাচারী ব্যবস্থার সংস্কার না করে ক্ষমতা হস্তান্তর করলে এই ব্যবস্থার কারণে যে নতুন সরকার ক্ষমতায় আসবে তারাও স্বৈরাচারী হতে বাধ্য হবে।'

'তাই আমরা মনে করি এই সংস্কার অপরিহার্য। পুনর্গঠনের জন্য জনগণের প্রস্তাবনা তারা যেভাবে দেশ গড়তে চায়, সেগুলো বাস্তবায়ন করা আমাদের দায়িত্ব,' যোগ করেন তিনি।

সংস্কার কাজ এগিয়ে নিতে তারা বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের মতামত নিচ্ছেন বলেও জানান।

আসিফ বলেন, 'আমরা বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে নিয়মিত বৈঠক করছি। অফিসিয়াল মিটিং ছাড়াও আমরা অনানুষ্ঠানিক যোগাযোগ রাখছি, যেন আমাদের মধ্যে কোনো ভুল বোঝাবুঝির ঘটনা না ঘটে। আমরা নিশ্চিত করব যে আমরা দেশের পুনর্গঠনের এই যাত্রায় রাজনৈতিক দলসহ সব অংশীদারদের সঙ্গে নিয়ে এগিয়ে যেতে পারি।'

দেশের বিভিন্ন স্থানে সভা করতে সমন্বয়করা বাধার সম্মুখীন হচ্ছেন, এমন প্রশ্নের জবাবে আসিফ মাহমুদ বলেন, 'সামনে দেশ পুনর্গঠনের সংগ্রাম। জনগণের আশা-আকাঙ্খার প্রতিফলন ঘটাতে হলে আমাদের অবশ্যই তাদের (জনগণ) কথা শুনতে হবে। এ কারণে সমন্বয়করা সব জায়গায় গিয়ে মানুষের কথা শোনার চেষ্টা করছেন। আমি সেখানে কিছু ঘটনার কথাও শুনেছি।'

'এটা বাংলাদেশের পুরোনো সংস্কৃতি। কিছু মানুষ আছে যারা যেকোনো ভালো উদ্যোগকে বিতর্কিত করে তুলবে। অনেক ভুয়া সমন্বয়ক বিভিন্ন জায়গায় চাঁদাবাজি করছে। আমরা মনে করি এসব দ্রুত বন্ধ হবে, যে জাতীয় ঐক্য গড়ে উঠেছিল তা বহাল থাকবে এবং এর মাধ্যমে আমরা নতুন বাংলাদেশ গঠন করতে পারব,' বলেন আসিফ।

Comments

The Daily Star  | English

Eid meat: Stories of sacrifice, sharing and struggle

While the well-off fulfilled their religious duty by sacrificing cows and goats, crowds of people -- less fortunate and often overlooked -- stood patiently outside gates, waiting for a small share of meat they could take home to their families

11h ago