হাতিয়ার মেঘনায় ১০ ট্রলারডুবি, ১৭ জেলে নিখোঁজ

Hatiya Fisherman
হাতিয়ার চেয়ারম্যান ঘাট এলাকার চিত্র। স্টার ফাইল ফটো

বৈরী আবহাওয়ায় ঝড়ের কবলে পড়ে নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার মেঘনা নদীতে ১০টি মাছ ধরার ট্রলারডুবির ঘটনা ঘটেছে। এ সময় ১২০ জন জেলেকে জীবিত উদ্ধার করা গেলেও ১৭ জন জেলে ও মাঝি এখনো নিখোঁজ আছেন।

আর ডুবে যাওয়া ১০টি ট্রলারের মধ্যে পাঁচটি এখনো উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।

হাতিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দায়িত্বে থাকা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মিল্টন চাকমা দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, শুক্রবার বিকেল থেকে রাত ৮টার মধ্যে নিঝুম দ্বীপ, জাহাজমারা ইউনিয়নের মেঘনা ও সূর্যমুখী খালসহ কয়েকটি এলাকায় ট্রলারডুবির এ ঘটনা ঘটে। নিখোঁজ জেলেদের ভাগ্যে কী ঘটেছে, তা এখনো বলা যাচ্ছে না। উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করতে কোস্টগার্ড ও নৌপুলিশকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

ডুবে যাওয়া ট্রলারমালিকরা হলেন—বাবর মাঝি, জান মিয়া, দেলোয়ার মাঝি, হেলাল উদ্দিন, শহীদ মাঝি, মেহরাজ মাঝি ও ইউনুছ মাঝি।

স্থানীয়রা বলছেন, ইলিশ ধরার ভরা মৌসুম চলছে এখন। এ কারণে গত কয়েকদিনে মাছ ধরার জন্য উপজেলার নিঝুমদ্বীপ, জাহাজমরা চর, ঈশ্বর নলচিরা ঘাটসহ বিভিন্ন ঘাট থেকে বেশ কয়েকটি ট্রলার গভীর সাগরে মাছ ধরতে যায়। কিন্তু সাগর উত্তাল থাকায় শুক্রবার বিকেল থেকে ট্রলারগুলো ঘাটে ফিরতে শুরু করলেও প্রবল বাতাসে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ১০টি ট্রলার বিভিন্ন সময়ে মেঘনা নদীর মোহনায় ডুবে যায়।

এ সময় কাছাকাছি থাকা অন্য ট্রলার থেকে ১২০ জন জেলে ও মাঝিকে জীবিত উদ্ধার করা হয়। দুর্ঘটনায় দেলোয়ার মাঝি নামে এক ব্যক্তি গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন বলেও জানান স্থানীয়রা।

কোষ্টগার্ডের হাতিয়া দক্ষিণ জোনের কর্মকর্তা লে. কমান্ডার এইচ এম এম হারুনুর রশিদ ডেইলি স্টারকে বলেন, 'উপজেলা প্রশাসন ও স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর শুনে আমরা উদ্ধার অভিযানে টিম পাঠিয়েছি। কিন্তু মেঘনা নদী এতই উত্তাল যে কোষ্টগার্ড সদস্যরা ঘটনাস্থল কিংবা তার আশপাশের সীমানায় ঢুকতে পারছেন না।'

এ দিকে সাগরে গভীর নিম্নচাপের কারণে ৩ নম্বর সতর্কসংকেত বহাল থাকায় হাতিয়ার সঙ্গে ঢাকা, চট্রগ্রাম, ভোলা ও নোয়াখালীর সব ধরনের নৌ-যোগাযোগ বন্ধ আছে।

Comments

The Daily Star  | English

Cyber protection ordinance: Draft fails to shake off ghosts of the past

The newly approved draft Cyber Protection Ordinance retains many of the clauses of its predecessors that drew flak from across the world for stifling freedom of expression.

11h ago