২৪ বছরেই পরিত্যক্ত পটুয়াখালীর ফরিদগঞ্জ মাধ্যমিক বিদ্যালয় ভবন

কলাপাড়ার ফরিদগঞ্জ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে জরাজীর্ণ একতলা পাকা ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। ছবি: সোহরাব হোসেন/স্টার

পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার ফরিদগঞ্জ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের একমাত্র পাকা ভবনটি নির্মাণ করা হয় ২০০০ সালে। এর মধ্যেই জরাজীর্ণ হয়ে পড়েছে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্মাণ করা এই ভবন। ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ায় পাশের জরাজীর্ণ টিনশেড ঘরে বিদ্যালয়ের পাঠদান কার্যক্রম চালাতে হচ্ছে।

বিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, কলাপাড়ার নীলগঞ্জ ইউনিয়নে ১৯৬৮ সালে ফরিদগঞ্জ মাধ্যমিক বিদ্যালয়টি স্থাপিত হয়। বর্তমানে স্কুলের শিক্ষার্থীর সংখ্যা তিন শতাধিক। টিনশেড ঘরে এত শিক্ষার্থীর স্থান সংকুলান হচ্ছে না।

স্কুলে গিয়ে দেখা যায়, একতলা পাকা ভবনের প্রতিটি কক্ষের ছাদের পলেস্তারা খসে পড়েছে। ছাদ ও বারান্দার স্তম্ভগুলোর রড বেরিয়ে গেছে। দরজা-জানালাগুলো ভাঙা। একাধিক জায়গায় দেয়ালে ফাটল ধরেছে। সামান্য বৃষ্টিতেই পানি চুইয়ে ভবনের ভেতরে প্রবেশ করছে। স্কুলের গুদামঘর ও পুরাতন জরাজীর্ণ টিনশেড ভবনে ক্লাস চালছে। শ্রেণিকক্ষে বাঁশের সঙ্গে ফ্যান ঝোলানো রয়েছে। জরাজীর্ণ ভবনটিতে এখনও প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকরা বসেন। ঝুঁকি নিয়ে স্কুলে শিক্ষা কার্যক্রম চলছে।

স্কুল ভবনের ছাদের পলেস্তারা খসে রড বেরিয়ে গেছে। ছবি: সোহরাব হোসেন/স্টার

এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক মেহেদী হাসান বলেন, নীলগঞ্জ ইউনিয়নের মজিদপুর, সলিমপুর, বাইনতলা, এলেমপুর, কুমারমারা, ইসলামপুর, নেয়ামতপুর, গামরতলা, ফরিদগঞ্জ ও নীলগঞ্জ গ্রামের একমাত্র এই বিদ্যালয় এটি। কাছাকাছি আর স্কুল না থাকায় ওই স্কুলটাই ভরসা। কিন্তু শিক্ষার্থী সংখ্যার তুলনায় স্কুলটির অবকাঠামো খুবই অপ্রতুল ও ঝুঁকিপূর্ণ।

বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক জামাল উদ্দিন জানান, ২০০০ সালে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর স্কুলের একতলা পাকা ভবন নির্মাণ করে। কিন্তু নিম্ননের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার করায় ভবনটি অল্প দিনের মধ্যেই জরাজীর্ণ হয়ে পড়ে।

তিনি আরও বলেন, কয়েক মাস আগে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা চেয়ারম্যান বিদ্যালয়টি পরিদর্শন করে গেছেন। ঝুঁকি বিবেচনায় তারা ভবনটি ব্যবহার না করতে বলেছেন।

পটুয়াখালী শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের উপ-সহকারী প্রকৌশলী ইমরান হোসাইন বলেন, আমি এখানে নতুন যোগদান করেছি। শিগগির স্কুলটিতে গিয়ে খোঁজ নেবো। নতুন ভবন নির্মাণের চেষ্টা করব।

Comments

The Daily Star  | English

‘Should we grieve, rejoice, or cry’

Thousands of displaced, war-weary Gazans set off across the devastated Palestinian territory to return to their home areas yesterday after a long-awaited truce between Israel and Hamas took effect following an initial delay

3h ago