এটুআইয়ের অপ্রয়োজনীয় প্রকল্প বাদ দিন: নাহিদ ইসলাম

নাহিদ ইসলাম। ছবি: সংগৃহীত

এটুআইয়ের অপ্রয়োজনীয় প্রকল্প দ্রুত বাদ দিতে বলেছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম।

আজ বুধবার ঢাকায় আইসিটি টাওয়ারে এটুআইয়ের প্রধান কার্যালয় পরিদর্শনকালে উপদেষ্টা এ কথা বলেন।

ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

নাহিদ ইসলাম বলেন, 'ছাত্র-জনতার রক্তের বিনিময়ে আমরা নতুন বাংলাদেশ পেয়েছি। সেই রক্তের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে আমাদের কাজ করতে হবে।'

এটুআইয়ের কাজের ব্যাপারে যেন কোনো অভিযোগ না আসে সেদিকে খেয়াল রাখতে বলেন উপদেষ্টা।

নাহিদ ইসলাম আরও বলেন, 'এটুআইয়ের গৃহীত উদ্যোগগুলো দেশের মানুষের কাছে পৌঁছাতে হবে। উদ্ভাবনী শক্তি কাজে লাগাতে হবে।'

বাংলাদেশের যুবসমাজকে তথ্য প্রযুক্তি খাতে সম্পৃক্ত করা হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, 'প্রয়োজনে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে যেসব বাংলাদেশি তথ্য প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ গাড়ি হিসেবে কাজ করছে তাদের সমন্বয়ে অ্যাডভাইজরি টিম করা হবে। তাদের পরামর্শ অনুযায়ী তরুণদের কাজে লাগানো হবে।'

অনেকে ব্যক্তি উদ্যোগে বা গ্রুপ ভিত্তিক ভালো উদ্ভাবনী কাজ করছে তাদের পরামর্শ দিলে সেটাও তাদের কাজে আসবে বলে মন্তব্য করেন উপদেষ্টা।

নাহিদ ইসলাম বলেন, 'এটুআইয়ের অনিয়ম-দুর্নীতি নিয়ে একাধিক তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। সেই তদন্ত প্রক্রিয়া যেন নিরপেক্ষ এবং স্বচ্ছ হয়।'

নাহিদ ইসলাম বলেন, 'দেশে যে রাজনৈতিক ধারা অব্যাহত আছে তা সংস্কার প্রয়োজন। পাশাপাশি রাষ্ট্র কাঠামোর সংস্কারও করতে হবে। আমাদের রাষ্ট্র কাঠামো এক ব্যক্তি কেন্দ্রিক হয়ে গেছে, এখানে সংবিধান প্রধানমন্ত্রীকে এমন ক্ষমতা দিয়েছে যা সীমাহীন। আমরা সবার সঙ্গে আলোচনা করে এ ধারা পরিবর্তন করতে চাই।'

তিনি আরও বলেন, 'ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে অর্জিত নতুন বাংলাদেশে শহীদের রক্তের প্রতি সম্মান রেখে কাজ করে যেতে হবে। এ আন্দোলনে একেবারেই সাধারণ মানুষ রক্ত দিয়েছে, শহীদ হয়েছে।'

তাদের এ আত্মত্যাগের কথা মাথায় রেখেই কাজ করে যেতে হবে বলেও মন্তব্য করেন উপদেষ্টা।

এ সময় তরুণ উদ্যোক্তারা তাদের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলেন। আলোচনায় এটুআইয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

Comments

The Daily Star  | English

What are we building after dismantling the AL regime?

Democracy does not seem to be our focus today. Because if it were, then shouldn’t we have been talking about elections more?

11h ago