সাবেক প্রধান বিচারপতি খায়রুল হকের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা

বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হক। ছবি: সংগৃহীত

সাবেক প্রধান বিচারপতি ও সদ্য পদত্যাগ করা আইন কমিশনের চেয়ারম্যান এ বি এম খায়রুল হকের বিরুদ্ধে সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিলের রায় পরিবর্তন ও জালিয়াতির অভিযোগে মামলা হয়েছে। তার ওই রায়ের পর তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বিলুপ্ত হয়।

ঢাকা আইনজীবী সমিতির সদস্য ইমরুল হাসান বাদী হয়ে ঢাকা মহানগর হাকিম দিলরুবা আফরোজ তিথির আদালতে খায়রুল হকের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করেন।

শুনানি শেষে ম্যাজিস্ট্রেট অভিযোগকারীর জবানবন্দি রেকর্ড করেন এবং তিনি বলেন আজই এ বিষয়ে আদেশ দেবেন।

অভিযোগে ইমরুল বলেন, চলতি বছরের ১৩ আগস্ট বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হক আইন কমিশনের চেয়ারম্যানের পদ থেকে পদত্যাগ করেন।

প্রধান বিচারপতির পদ থেকে অবসর নেওয়ার পর ২০১৩ সালের ২৩ জুলাই সরকার তাকে তিন বছরের জন্য আইন কমিশনের চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ দেয়।

কমিশনের চেয়ারম্যান হিসেবে তার মেয়াদ পরবর্তীতে তিন বার বাড়ানো হয়।

বিচারপতি খায়রুল হক ২০০৯ সালের জুলাই মাসে আপিল বিভাগে উন্নীত হন।

তার অবসরের এক সপ্তাহ আগে, বিচারপতি খায়রুল হক ড. কামাল হোসেন, ব্যারিস্টার রফিক-উল হক, ব্যারিস্টার এম আমীর-উল ইসলাম, সাবেক অ্যাটর্নি এবং সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল মাহমুদুল ইসলামের মতো বিশিষ্ট আইনজ্ঞদের জোরালো আবেদন উপেক্ষা করে নির্দলীয় নির্বাচনকালীন সরকারকে 'অবৈধ' ঘোষণা করে রায় দেন। যাদের সবাই দেশের গণতন্ত্রের স্বার্থে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ব্যবস্থা বহাল রাখার পক্ষে জোরালো যুক্তি দিয়েছিলেন।

এমনকি বিচারপতি খায়রুল হকের নেতৃত্বে থাকা আপিল বিভাগের তিন জন বিচারপতিও ভিন্নমত পোষণ করে এই ব্যবস্থাকে 'অবৈধ' ঘোষণা করতে সম্মতি দেননি। অন্য তিন জন বিচারপতি অবশ্য তার সঙ্গে একমত পোষণ করেন।

এরপর বিচারপতি খায়রুল হক নির্ধারক ভোট নেন এবং  নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারকে 'অবৈধ' ঘোষণা করা হয়।

তার এই রায় শেখ হাসিনাকে ক্ষমতা আঁকড়ে থাকার সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক অস্ত্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। অভিযোগকারী তার অভিযোগে বলেন, তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থার অবসান মানে ১৯৯১, ১৯৯৬, ২০০১ ও ২০০৮ সালে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করা চেক অ্যান্ড ব্যালেন্সের ব্যবস্থার অবসান।

Comments

The Daily Star  | English
Dhaka Airport lounges for migrant workers

A dignified welcome

Dhaka airport finally opens lounges dedicated to migrant workers and their families

18h ago