কাদের ও আসাদুজ্জামানের ওপর নিষেধাজ্ঞা চান যুক্তরাষ্ট্রের ৬ কংগ্রেসম্যান ও সিনেটর

চিঠিতে সই করেছেন টেক্সাসের কংগ্রস সদস্য লয়েড ডজেট, আল গ্রিন; ম্যাসাচুসেটসের জেমস পি ম্যাকগোভার্ন ও উইলিয়াম আর কিয়েটিং। সিনেটরদের মধ্যে আছেন মেরিল্যান্ডের ক্রিস ভ্যান হোলেন এবং ম্যাসাচুসেটসের মারকি।
ওবায়দুল কাদের ও আসাদুজ্জামান খান কামাল। ছবি: সংগৃহীত

মানবাধিকার লঙ্ঘনের দায়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের আহ্বান জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের ছয় জন কংগ্রেসম্যান ও সিনেটর। এই দুজনের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার দাবিতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন ও অর্থমন্ত্রী জেনেট ইয়েলেনকে চিঠি দিয়েছেন তারা।

সিনেটের বৈদেশিক সম্পর্ক কমিটির সদস্য ভ্যান হোলেন বলেন, 'শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদকারীদের ওপর বলপ্রয়োগের মাধ্যমে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনাকে মেনে নেওয়া যায় না। যে সব বাংলাদেশি নেতৃবৃন্দ এই নৃশংস দমন-পীড়ন পরিচালনা করেছেন তাদের অবশ্যই জবাবদিহি করতে হবে। এ কারণেই যুক্তরাষ্ট্র সরকারের প্রতি আমাদের আহ্বান (আওয়ামী লীগের) সাধারণ সম্পাদক কাদের এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হোক যেহেতু আমরা একটি শান্তিপূর্ণ ও গণতান্ত্রিক বাংলাদেশকে সহযোগিতা করার জন্য কাজ চালিয়ে যাচ্ছি।'

চিঠিতে সই করেছেন টেক্সাসের কংগ্রস সদস্য লয়েড ডজেট, আল গ্রিন; ম্যাসাচুসেটসের জেমস পি ম্যাকগোভার্ন ও উইলিয়াম আর কিয়েটিং। সিনেটরদের মধ্যে আছেন মেরিল্যান্ডের ক্রিস ভ্যান হোলেন এবং ম্যাসাচুসেটসের মারকি।

চিঠিতে বলা হয়, 'গত ১৫ জুলাই সরকারি চাকরিতে অন্যায্য কোটার বিরুদ্ধে শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের দমনে আওয়ামী লীগ সরকার পুলিশ ও আধাসামরিক বাহিনী মোতায়েন করে। পরের সপ্তাহে, নিরাপত্তা বাহিনী ছাত্র বিক্ষোভকারীদের ওপর অসামঞ্জস্যপূর্ণ বল প্রয়োগ করে। বিক্ষোভকারীদের ওপর রাবার বুলেট, পেলেট গান, সাউন্ড গ্রেনেড, টিয়ার গ্যাস এবং প্রাণঘাতী গুলি ছোড়া হয়। ভিন্নমত দমনে আওয়ামী লীগের বৃহত্তর কর্মকাণ্ডের অংশ ছিল এটি। অথচ মানবাধিকার লঙ্ঘনে দায়ে এই নেতাদের বিচার হয়নি।'

Comments

The Daily Star  | English
Gazipur factory fire September 2024

Column by Mahfuz Anam: Business community's voice needed in the interim government

It is necessary for keeping the wheels of growth running and attracting foreign investment in the new Bangladesh.

7h ago