টেকনাফে ২ নৌকাডুবির ঘটনায় আরও ২১ রোহিঙ্গার মরদেহ উদ্ধার
মিয়ানমারে সংঘাত থেকে বাঁচতে বাংলাদেশে পালিয়ে আসার সময় নাফ নদীতে নৌকাডুবির ঘটনায় আরও ২১ জন রোহিঙ্গার মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। দুটি নৌকাডুবির ঘটনায় এ নিয়ে টেকনাফে ৩১ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হলো।
রাখাইন রাজ্যে আরাকান আর্মি ও সরকারি বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষের মধ্যে বঙ্গোপসাগর হয়ে বাংলাদেশে আসার চেষ্টা করছিলেন এই রোহিঙ্গারা।
মঙ্গলবার সকালে টেকনাফ সৈকতে ১০ জন রোহিঙ্গার মরদেহ সৈকতে ভেসে আসে। এদিন সন্ধ্যায় আরও পাঁচ জনের মরদেহ পাওয়া যায়। বুধবার সকাল থেকে বিকেলের মধ্যে শাহপরীর দ্বীপের কাছের জেটি এলাকা থেকে স্থানীয়রা আরও পাঁচ জনের মরদেহ উদ্ধার করে। এ ছাড়াও টেকনাফের সাবরাং ইউনিয়নের দক্ষিণপাড়া থেকে চার জন এবং পশ্চিমপাড়া থেকে তিন জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
যাদের মরদেহ পাওয়া গেছে তাদের মধ্যে ১৩ জন নারী, তিন জন পুরুষ ও ১৫ শিশু রয়েছে।
সাবরাং ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য আব্দুল মান্নান ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডের আব্দুস সালাম বলেন, এই রোহিঙ্গারা বঙ্গোপসাগর থেকে নাফ নদী হয়ে বাংলাদেশে ঢোকার পরিকল্পনা নিয়ে আসছিলেন। কিন্তু ঝড়ের মধ্যে পড়ে তাদের নৌকা ডুবে যায়।
উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশের পরামর্শ অনুযায়ী মরদেহগুলোর পরিচয় শনাক্ত না করেই কবর দেওয়া হয়েছে বলে তারা জানান।
রাখাইনে যুদ্ধরত দুই পক্ষ – আরকান আর্মি এবং জান্তা বাহিনী – রোহিঙ্গাদের হত্যা করছে বলে মানবাধিকার সংগঠনগুলো অভিযোগ করছে।
নৌকাডুবি থেকে যারা বেঁচে ফিরেছেন তাদের উদ্ধৃত করে স্থানীয়রা জানান, মিয়ানমার থেকে রওনা হওয়ার সময় একটি নৌকায় ২৯ জন এবং অন্য একটি নৌকায় প্রায় ২০ জন ছিলেন।
টেকনাফ বিজিবি-২ এর কমান্ডিং অফিসার লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ মহিউদ্দিন জানান, তিনি ঘটনাটি শুনেছেন।
Comments