শাহবাগে মরদেহ নিয়ে মিছিল, পুলিশের গুলি

রোববার দুপুরে শাহবাগে আন্দোলনকারীদের জমায়েত। ছবি: আনিসুর রহমান/স্টার

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার সময় প্রধান গেট থেকে বিক্ষোভকারীরা চারজনের মরদেহ ছিনিয়ে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার পর্যন্ত মিছিল করে গেছেন।

আজ রোববার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে নিহত চারজনের মরদেহ নিয়ে বিক্ষোভকারীরা শহীদ মিনারে যান। সেখান থেকে মরদেহ নিয়ে শাহবাগে মিছিল করেন আন্দোলনকারীরা।

এ সময় আন্দোলনকারীরা এক দফা ও হত্যার প্রতিবাদে স্লোগান দেন। এক পর্যায়ে আন্দোলনকারীরা শাহবাগ থানাকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ছোড়েন।

দ্য ডেইলি স্টারের সংবাদদাতা জানান, সন্ধ্যা ৬টায় কারফিউ জারির পর শাহবাগে ভিড় কমতে থাকে। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে পুলিশ গুলি ছুড়তে শুরু করে।

ঘটনাস্থল থেকে দ্য ডেইলি স্টারের সংবাদদাতা জানান, সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় শাহবাগ মোড়ে কয়েকশ আন্দোলনকারী অবস্থান করছিলেন। আন্দোলনকারীদের লক্ষ্য করে এসময় সাউন্ড গ্রেনেড ও রাবার বুলেটও ছোড়া হয়। পরে তারা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়।

সর্বশেষ সন্ধ্যা ৭টায় শাহবাগে বিপুল সংখ্যক পুলিশের উপস্থিতি ছিল। গোটা এলাকাজুড়ে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। 

রোববার সকাল থেকেই শাহবাগ ও বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় জড়ো হতে শুরু করেন আন্দোলনকারীরা। সকাল ১১টার দিকে ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষ হয়।

তবে দুপুরের পর থেকে ঢাকার বিভিন্ন এলাকা থেকে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে আন্দোলনকারীরা শাহবাগে জমায়েত করেন।

বিকেল ৩টার দিকে বাংলামোটর থেকে শাহবাগের দিকে সাউন্ড গ্রেনেড, টিয়ারশেল ছোড়ে পুলিশ। এ সময় পুলিশের সঙ্গে লাঠিসোটা, হকিস্টিক, রামদা হাতে সরকারদলীয় সমর্থকদের দেখা যায়।

এক পর্যায়ে আন্দোলনকারীদের ধাওয়া খেয়ে পুলিশ ও সরকারদলীয় সমর্থকরা কারওয়ানবাজার পার হয়ে ফার্মগেট পর্যন্ত পিছিয়ে আসেন।

বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত এ ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। দফায় দফায় সাউন্ড গ্রেনেড, টিয়ারশেল নিক্ষেপ করা হয়। গুলির আওয়াজ শোনা যায়।

বিকেল ৫টার দিকে পুলিশের গুলির মুখে আন্দোলনকারীরা আবার শাহবাগের দিকে ফিরে যায়।

Comments

The Daily Star  | English
The Indian media and Bangladesh-India relations

The Indian media and Bangladesh-India relations

The bilateral relationship must be based on a "win-win" policy, rooted in mutual respect, non-hegemony, and the pursuit of shared prosperity and deeper understanding.

9h ago