৬ সমন্বয়কের মুক্তি: আলটিমেটাম শেষে ডিবি কার্যালয়ে যাচ্ছেন বিশিষ্ট নাগরিকরা

ঢাকা রিপোর্টার ইউনিটিতে ‘বিক্ষুব্ধ নাগরিক সমাজ’-এর ব্যানারে সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান। ছবি: স্টার

কোটা সংস্কার আন্দোলনের তুলে নেওয়া ছয় সমন্বয়ককে ছাড়িয়ে আনার জন্য আজ ডিবি কার্যালয়ে যাবেন দেশের বিশিষ্ট নাগরিকেরা।

ছয় সমন্বয়ককে নিঃশর্ত মুক্তির জন্য ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম শেষ হওয়ার পর আজ দুপুরে তারা রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিবি কার্যালয়ে যাবেন।

এ ব্যাপারে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান বলেন, আমরা মনে করেছিলাম ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তাদের ছেড়ে দেওয়া হবে। কিন্তু তাদের ছাড়া হয়নি। আজ দুপুর আড়াইটায় আমরা ডিবি কার্যালয়ে যাব। আমরা জানতে চাইব কেন তাদের আটকে রাখা হয়েছে।

ডিবি হেফাজতে থাকা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ছয় সমন্বয়ককে নিঃশর্ত মুক্তির জন্য গতকাল ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দেন দেশের বিশিষ্ট নাগরিকেরা। বুধবার দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে সংবাদ সম্মেলন করে ইফতেখারুজ্জামান বলেন, আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কোটা সংস্কার আন্দোলনের সমন্বয়কদের নিঃশর্ত মুক্তি না দিলে তারা মানববন্ধনের মতো কর্মসূচি পালন করবেন।

সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) প্রধান নির্বাহী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক গীতি আরা নাসরীন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক আসিফ নজরুল, সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক সামিনা লুৎফা,জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের মির্জা তাসলিমা সুলতানা, এএলআরডির নির্বাহী পরিচালক শামসুল হক প্রমুখ।

তারা বলেন, কোটা সংস্কার আন্দোলনে পুলিশ, র‌্যাব, আনসার, বিজিবি, ছাত্রলীগ, যুবলীগের কর্মী যারা গুলি করেছে তাদের বিরুদ্ধে সঠিক ও স্বচ্ছ তদন্ত ও সঠিক বিচার হতে হবে।

তারা প্রতিটি হত্যাকাণ্ড এবং আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অস্ত্র ব্যবহার এবং বল প্রয়োগের বিষয়ে জাতিসংঘের উচ্চপদস্থ বিশেষজ্ঞের অধীনে স্বাধীন, গ্রহণযোগ্য ও বিশ্বাসযোগ্য তদন্তের দাবি জানান।

 

Comments

The Daily Star  | English

US retailers lean on suppliers to absorb tariffs

Rather than absorbing the cost or immediately passing it on to consumers, many US apparel retailers and brands have turned to their suppliers in Bangladesh, demanding they share the pain

3h ago