ফরিদপুরে ডিবির উপস্থিতিতে আন্দোলন কর্মসূচি প্রত্যাহারের ঘোষণা

সেসময় প্রেসক্লাবের বাইরে জেলা ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মীকেও দেখা যায়।
ফরিদপুরে কোটা সংস্কার আন্দোলনের কর্মসূচি প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন কয়েকজন শিক্ষার্থী। ছবি: সংগৃহীত

ফরিদপুরে সংবাদ সম্মেলন করে কোটা সংস্কার আন্দোলনের কর্মসূচি প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছেন ফরিদপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট ও ফরিদপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষার্থী।

তবে এই শিক্ষার্থীদের চেনেন না ফরিদপুরের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা।

আন্দোলনকারীরা বলছেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ফরিদপুরের দুই সমন্বয়কারী কারাগারে। এ অবস্থায় অন্য কারও কর্মসূচি প্রত্যাহারের ঘোষণা দেওয়ার সুযোগ নেই।

আজ সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ফরিদপুর প্রেসক্লাবে 'বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন ফরিদপুর' ব্যানারে সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করা হয়।

প্রেসক্লাবের ওই কক্ষে তখন ফরিদপুরের ডিবি পুলিশের ওসি আব্দুল মতিন এবং প্রশাসন ও গোয়েন্দা বিভাগের কয়েকজন সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া প্রেসক্লাবের বাইরে জেলা ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মীকেও দেখা যায়।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনান ফরিদপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের ষষ্ঠ সেমিস্টারের শিক্ষার্থী  পরিচয়দানকারী আরমান শিকদার। 

তিনি বলেন, 'শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবি সরকার কর্তৃক পূরণ হওয়ায় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন ফরিদপুরের যেসব আন্দোলন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছিল তা প্রত্যাহার করা হলো। এখন আমাদের শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার জন্য সরকারের কাছে দাবি জানাই।'

এসময় অন্যদের মধ্যে ফরিদপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্র পরিচয়দানকারী রিয়াদ মোল্লা ও রবিউল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। 

এ সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত থাকার বিষয়ে জানতে চাইলে ফরিদপুর ডিবি পুলিশের ওসি আব্দুল মতিন দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'শিক্ষার্থীদের সংবাদ সম্মেলনে তাদের নিরাপত্তার স্বার্থে এবং এটাকে কেন্দ্র করে যেন কোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি না হয়, সেজন্য আমরা সেখানে অবস্থান করি।'

এদিকে যোগাযোগ করা হলে ফরিদপুরের 'বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের' নেতা আবরাব নাদীম দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমাদের কোনো কর্মসূচি প্রত্যাহার করা হয়নি। ফরিদপুরে আমাদের দুই সমন্বয়কারী শাহ মো. আরাফাত ও জনি বিশ্বাস বর্তমানে কারাগারে আছেন। এছাড়াও আমাদের নয় দফা দাবি এখনও বাস্তবায়িত হয়নি। আমাদের দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত এ আন্দোলন প্রত্যাহারের সুযোগ নেই।' 

Comments

The Daily Star  | English

Turning the tide: Critical reforms to correct 15 years of misrule

As Bangladesh enters a new era following the ouster of the Sheikh Hasina-led Awami League government, which ruled over the nation for 15 years and is responsible for countless financial wrongdoings, the need of the hour is to reform the overall system of governance.

14h ago