প্রতারণায় নিয়োগ প্রমাণিত হলে ব্যবস্থা

আবেদ আলী একটি দলের ষড়যন্ত্রের ইনস্ট্রুমেন্ট কি না সূক্ষ্মভাবে দেখা হচ্ছে: জনপ্রশাসনমন্ত্রী

প্রতারণায় নিয়োগ প্রমাণিত হলে ব্যবস্থা
জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন | ছবি: টেলিভিশন থেকে নেওয়া

কোনো সরকারি কর্মকর্তা বিরুদ্ধে নিয়োগ পরীক্ষায় প্রতারণার আশ্রয় নেওয়ার অভিযোগ প্রমাণিত হলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।

তিনি আরও বলেন, প্রশ্ন ফাঁসে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তার আবেদ আলী একটি দলের ষড়যন্ত্রের ইনস্ট্রুমেন্ট কি না সূক্ষ্মভাবে দেখা হচ্ছে।

কোটা আন্দোলন প্রসঙ্গে আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে সচিবালয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ আহ্বান জানান।

বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) প্রশ্ন ফাঁসে জড়িত অনেকে গ্রেপ্তার হয়েছেন এবং তারা অনেকের নাম বলেছেন। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সেসব কর্মকর্তার বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেবে জানতে চাইলে ফরহাদ গণমাধ্যমকর্মীদের বলেন, 'পিএসসি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান। তারা তাদের নিজস্ব চিন্তা-ভাবনা থেকে করবে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সংসদে দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রণালয় হলেও এটি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান। তারা ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে চেয়ারম্যান সাহেব ইতোমধ্যে বলেছেন। বিষয়গুলো প্রমাণ হতে হবে এবং সেটির জন্য ব্যাপক প্রচেষ্টা চলছে। এখানে একটুও ত্রুটি নেই, খুবই শক্তভাবে সরকার দেখছে।

'সিআইডি বিশেষভাবে জানার চেষ্টা করছে আসলে বিষয়টি কী হয়েছে। যে প্রক্রিয়ায় প্রশ্ন বাছাই হয়, ইতোমধ্যে এ রকম অনেক কথা বলা হয়েছে। তার মধ্যেও কোনো ফাঁক-ফোকর আছে কি না, যার কারণে এরা সুযোগ নিয়েছে, সেটা আমাদের দেখার বিষয়। এগুলো নিয়ে সরকারের পক্ষ থেকে জোর প্রচেষ্টা চলছে,' যোগ করেন তিনি।

আবেদ আলী বলেছেন তিনি অনেক বিসিএস ক্যাডার বানিয়েছেন। সেই বিসিএস ক্যাডাররা যদি মন্ত্রণালয় বা কোনো অধিদপ্তরে দায়িত্ব পালন করে থাকেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ব্যবস্থা নেবে কি না জানতে চাইলে ফরহাদ বলেন, 'আমাদের চাকরি বিধিমালা আছে, যদি কেউ সেটি করে থাকে; প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে থাকেন অবশ্যই ব্যবস্থা আসবে।'

তিনি আরও বলেন, 'চাকরিতে যারা নিযুক্ত হবেন সে ক্ষেত্রে তো কিছু বিষয় রয়েছে এবং যথাযথ ব্যবস্থা অনুসরণ করেই চাকরিতে তাদের আসতে হবে। পিএসসিরও কিছু নিয়ম-কানুন রয়েছে। সেখানে কোনো ব্যত্যয় হয়েছে কি না সেটারও একটা ব্যাপার আছে। তবে আমাদের অপেক্ষা করতে হবে। বিষয়টি সবার মধ্যে একটি চাঞ্চল্যতা তৈরি করেছে যে, বিষয়টি আসলে কী হয়েছে। গভীর মনোযোগের সঙ্গে আমরা বিষয়টি দেখছি।'

তিনি বলেন, 'আমরা কোনো অনিয়ম-দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দিচ্ছি না। ব্যাপকভাবে এই জিনিসগুলো অনুসন্ধান চলছে। বেশি কিছু মানুষ দুর্নীতির কারণে আমাদের দৃষ্টিতে এসেছে এবং আমরা সরকারের পক্ষ থেকে ব্যবস্থা গ্রহণ করছি।'

ব্যবস্থা নেওয়ার ক্ষেত্রে অভিযোগ প্রমাণিত হতে হবে উল্লেখ করে জনপ্রশাসনমন্ত্রী বলেন, 'প্রথম কথা হচ্ছে, এটা সঠিক কি না? আসলে কী হচ্ছে? যে এ কথা বলছে, একজন ড্রাইভার। সেই ড্রাইভারকে আমরা দেখলাম, অন্য একটি দলের স্লোগান দিচ্ছে। আসলে ব্যাপারটি কী হয়েছে যতক্ষণ পর্যন্ত প্রমাণিত না হবে; সে কি সত্য বলছে? মিথ্যা বলছে? প্রমাণিত হতে হবে তো! সে একটি দলের ষড়যন্ত্রের ইনস্ট্রুমেন্ট হিসেবে কাজ করছে কি না...অনেকগুলো বিষয় এখানে আছে।

'কারণ সে একটি দলের হয়ে কাজ করছে, সরকারের ইমেজ নষ্ট করার জন্য...সে অনেক আগে তার কাজের জন্য চাকরিচ্যুত হয়েছে। তাকে দেখেছি, সে সেই সময় চাকরি করতো কি না জানি না যে, সে একটি দলের হয়ে যারা মাঠে সরকারের পতনের আন্দোলন করে, সরকারের উন্নয়নের কাজে বাধা দিতে চায়—তাদের হয়ে সে স্লোগান দিচ্ছে। সে কোন এজেন্ডা নিয়ে কথা বলছে সেটা একটি বিষয়। তবে সত্যি না মিথ্যা খুব সূক্ষ্মভাবে সরকারের পক্ষ থেকে অনুসন্ধান চলছে,' বলেন তিনি।

Comments

The Daily Star  | English

Ending impunity for crimes against journalists

Though the signals are mixed we still hope that the media in Bangladesh will see a new dawn.

9h ago