‘প্ররোচিত না হয়ে’ শিক্ষার্থীদের আদালতে যাওয়ার আহ্বান জনপ্রশাসনমন্ত্রীর

‘প্ররোচিত না হয়ে’ শিক্ষার্থীদের আদালতে যাওয়ার আহ্বান জনপ্রশাসনমন্ত্রীর
জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন | ছবি: টেলিভিশন থেকে নেওয়া

কোটা নিয়ে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের কারও দ্বারা প্ররোচিত না হয়ে আদালতের মাধ্যমে সমাধান করতে আহ্বান জানিয়েছেন জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।

কোটা আন্দোলন প্রসঙ্গে আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে সচিবালয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ আহ্বান জানান।

কোটা নিয়ে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের দাবি প্রসঙ্গে জনপ্রশাসনমন্ত্রী বলেন, 'আমরাও চাই বিষয় সুন্দরভাবে নিষ্পত্তি হয়ে যাক। মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তানদের কথা শুনে আদালত যে রায় দিয়েছেন, এখানে সুযোগ রয়ে গেছে; যে সমস্যাটা কোর্টে সেখানে না গিয়ে আমরা যদি রাস্তায় ব্যারিকেড দেই, ভোগান্তি-জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করি সেটি অনুচিত-অযৌক্তিক কাজ।'

আদালত যৌক্তিক জায়গা মন্তব্য করে তিনি বলেন, 'যেখান থেকে বিষয়টি হয়েছে সেখানে যেতে হবে। সেখানে যৌক্তিকভাবে বিষয়টি তুলে ধরলে আমার মনে হয়, সমস্যার সমাধান খুব সহজে হয়ে যাবে। একটি পানির মতো সহজ জিনিসকে জটিল করছে কারা? যখনই এ ধরনের ঘটনা ঘটে, আপনারা জানেন, একটি গোষ্ঠী আছে যারা পদ্মা সেতু নিয়ে সমালোচনা করে, দেশের উন্নয়ন নিয়ে সমালোচনা করে—এটা থাকবে; আমাদের শিক্ষার্থীরা কেন এত সহজ একটা জায়গা, সহজ সমাধান রেখে কেন জটিল জায়গা বেছে নিচ্ছে?

'আমি শিক্ষার্থীদের বলবো, আপনারা কারও দ্বারা প্ররোচিত না হয়ে যথাযথ জায়গায় যাবেন, আপনাদের বক্তব্য উপস্থাপন করবেন। আপনাদের বক্তব্যের সঙ্গে একমত হয়েই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৮ সালের ৪ অক্টোবর প্রজ্ঞাপন দিয়েছিলেন, সংসদে বক্তব্য রেখেছিলেন,' যোগ করেন তিনি।

জনপ্রশাসনমন্ত্রী আরও বলেন, 'ভারত, পাকিস্তান, মালদ্বীপ, মালে কানাডায় কোটা-ব্যবস্থা আছে এবং সেটি থাকতে হয়। আমাদের সংবিধান বলে, আমাদের প্রতিটি এলাকার মানুষ যাতে সমতারভিত্তিতে রাষ্ট্রীয় সুযোগ-সুবিধাগুলো পায়।'

দেশের অর্ধেক জনগোষ্ঠী নারী উল্লেখ করে তিনি বলেন, 'কোটা-ব্যবস্থা উঠে যাওয়ার কারণে নারীদের সরকারি চাকরিতে অংশগ্রহণ অনেক কমে গেছে। ৪৩তম বিসিএসে মাত্র ১৭ শতাংশ নারী সুযোগ পেয়েছেন। ৪০তম থেকে ৪৩তম বিসিএসের সবগুলোতে কমেছে। যেখানে ৩৮তম বিসিএসে নারীদের অংশগ্রহণ ছিল ২৬ শতাংশের উপরে।

'জেলা কোটার ক্ষেত্রে ৪০তম বিসিএসে ৫৯টি জেলা থেকে পুলিশে একজন নারীও চাকরির সুযোগ পায়নি। ১৭টি জেলা থেকে কেউ সুযোগ পাননি। তাহলে এই জেলাগুলো বঞ্চিত হয়ে গেল,' যোগ করেন তিনি।

কোটা কতটুকু থাকবে সেটা নিয়ে আলোচনা হতে পারে মন্তব্য করে ফরহাদ বলেন, 'এটা রাজপথে সমাধান হওয়ার কথা না, এটা তো নির্বাহী বিভাগ করবে না; করবে বিচার বিভাগ।'

কত শতাংশ কোটা থাকবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'এটা আমি বলতে পারি না। এটা আদালত নির্ধারণ করবেন।'

শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে তিনি আরও বলেন, 'কারও দ্বারা প্ররোচিত হবেন না। একদল আছে যারা দেশের কল্যাণ চায় না, তারা সব সময় ষড়যন্ত্র করে, গণতন্ত্রকে সব সময় ধ্বংস করতে চায়, আমাদের বড় বড় প্রকল্পগুলোতে তারা বাধা দিয়েছে এবং তাদের উদ্দেশ্য ভিন্ন। তাদের দ্বারা প্ররোচিত হয়ে আমরা ভিন্ন জায়গায় যাতে না যাই।'

Comments

The Daily Star  | English

Ending impunity for crimes against journalists

Though the signals are mixed we still hope that the media in Bangladesh will see a new dawn.

7h ago