সাংবাদিকদের নিয়ে লায়লা কানিজের বক্তব্য ‘উদ্দেশ্যমূলক’, নিঃশর্ত ক্ষমা দাবি ডিইউজের

কোনো সাংবাদিক লায়লা কানিজের কাছ থেকে অনৈতিকভাবে অর্থ নিলে বা সুবিধা আদায় করে থাকলে তার বা তাদের নামও প্রকাশ করা উচিত উল্লেখ করে ডিইউজে বলছে, ঢালাওভাবে সাংবাদিকদের সম্পর্কে কুরুচিপূর্ণ অভিযোগ গ্রহণযোগ্য নয়।

ছাগল–কাণ্ডে আলোচিত এনবিআরের কর্মকর্তা মতিউর রহমানের প্রথম স্ত্রী লায়লা কানিজের সাংবাদিকদের নিয়ে দেওয়া বক্তব্য 'উদ্দেশ্যমূলক' বলে মনে করছে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে)।

এক বিবৃতিতে 'উদ্দেশ্যমূলক' বক্তব্য প্রত্যাহার ও হীন বক্তব্যের জন্য লায়লা কানিজকে নিঃশর্তভাবে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানিয়েছে ডিইউজে।

আজ রোববার ওই বিবৃতিতে ডিইউজে সভাপতি সোহেল হায়দার চৌধুরী এবং সাধারণ সম্পাদক আকতার হোসেন বলেন, গত বৃহস্পতিবার লায়লা কানিজ সাংবাদিকদের সম্পর্কে কুরুচিপূর্ণ ও হীন উদ্দেশ্যমূলক মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেছেন, 'বড় বড় সাংবাদিককে কিনেই তারপর এসেছি। সব থেমে যাবে'। তার এমন বক্তব্য সাংবাদিক সমাজকে মর্মাহত করেছে। এ ধরনের উদ্দেশ্যমূলক বক্তব্য অবিলম্বে প্রত্যাহার করে তাকে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে হবে।

বিবৃতিতে বলা হয়, মতিউর রহমান ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে যে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে, উদ্দেশ্যমূলক মন্তব্য করে দুর্নীতির সেসব সংবাদ প্রকাশে সাংবাদিকদের বিরত রাখা যাবে না। একজন জনপ্রতিনিধি হয়ে লায়লা কানিজের এ ধরনের ঔদ্ধত্যমূলক বক্তব্য দেওয়া অন্যায়।

কোনো সাংবাদিক লায়লা কানিজের কাছ থেকে অনৈতিকভাবে অর্থ নিলে বা সুবিধা আদায় করে থাকলে তার বা তাদের নামও প্রকাশ করা উচিত উল্লেখ করে ডিইউজে বলছে, ঢালাওভাবে সাংবাদিকদের সম্পর্কে কুরুচিপূর্ণ অভিযোগ গ্রহণযোগ্য নয়।

উল্লেখ্য, গেল কোরবানির ঈদে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের সাদিক অ্যাগ্রো থেকে মতিউর রহমানের ছেলে ১২ লাখ টাকায় একটি ছাগল ছাড়াও ঢাকার বিভিন্ন খামার থেকে ৭০ লাখ টাকার গরু কিনেছেন বলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও গণমাধ্যমে উঠে আসে।

এরপর থেকে মতিউর রহমানের ছেলের দামি ব্র্যান্ডের ঘড়ি, গাড়ি, বিলাসবহুল জীবনযাপন এবং মতিউর রহমান ও পরিবারের সদস্যদের নামে রিসোর্ট, শুটিং স্পট, বাংলো বাড়ি, জমিসহ নামে-বেনামে সম্পত্তি নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। মতিউরের প্রথম স্ত্রী লায়লা কানিজ।

Comments