ভারতীয়রা বাংলাদেশ থেকে ১০ মাসে দেশে পাঠিয়েছে ৫০.৬০ মিলিয়ন ডলার: অর্থমন্ত্রী

অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী
অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। ছবি: সংগৃহীত

চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জুলাই থেকে এপ্রিল পর্যন্ত ১০ মাসে বাংলাদেশে বসবাসকারী ভারতীয়রা তাদের দেশে মোট ৫০ দশমিক ৬০ মিলিয়ন ডলার নিয়ে গেছেন বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী।

আজ সোমবার জাতীয় সংসদে ফরিদপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য আব্দুল কাদের আজাদের লিখিত প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য জানান অর্থমন্ত্রী।

স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উপস্থাপিত হয়।

এ সময় অর্থমন্ত্রী বলেন, একই সময়ে বিদেশিরা মোট ১৩০ দশমিক ৫৮ মিলিয়ন ডলার নিজ নিজ দেশে নিয়ে গেছেন।

তিনি জানান, বাংলাদেশে বসবাসকারী বিদেশি নাগরিকদের বছরের আয় সংশ্লিষ্ট তথ্য বাংলাদেশে ব্যাংকে সংরক্ষিত নেই।

কোন দেশের নাগরিকরা কতো ডলার নিয়েছেন সেই তথ্য জানিয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, 'ভারত ৫০ দশমিক ৬০ মিলিয়ন ডলার, চীন ১৪ দশমিক ৫৬ মিলিয়ন ডলার, শ্রীলঙ্কা ১২ দশমিক ৭১ মিলিয়ন ডলার, জাপান ৬ দশমিক ৮৯ মিলিয়ন ডলার, কোরিয়া ৬ দশমিক ২১ মিলিয়ন ডলার, থাইল্যান্ড ৫ দশমিক ৩০ মিলিয়ন ডলার, যুক্তরাজ্য ৩ দশমিক ৫৯ মিলিয়ন ডলার, পাকিস্তান ৩ দশমিক ২৪ মিলিয়ন ডলার, যুক্তরাষ্ট্র ৩ দশমিক ১৭ মিলিয়ন ডলার, মালয়েশিয়া ২ দশমিক ৪০ মিলিয়ন ডলার এবং অন্যান্য দেশের নাগরিকরা ২১ দশমিক ৯২ মিলিয়ন ডলার নিজ নিজ দেশে নিয়ে গেছেন।'

চট্টগ্রাম-১ আসনের সরকার দলীয় এমপি মাহবুব উর রহমানের প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী বলেন, 'বর্তমানে বাংলাদেশে কোনো ব্যাংকেই আর্থিক সংকট নেই। তবে কিছু ব্যাংকে উচ্চ খেলাপি ঋণ, মূলধন ঘাটতি ও তারল্য সমস্যা বিদ্যমান আছে। এসব সমস্যা নিরসনে বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন করে কর্মকর্তা নয়টি ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদে পর্যবেক্ষক হিসেবে এবং সাতটি ব্যাংকে কো-অর্ডিনেটর হিসেবে নিয়োজিত রয়েছেন।'

এমপি আব্দুল লতিফের এক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, 'বিশ্ববাজারে জ্বালানি, খাদ্যপণ্য ও সারের মূল্য কমে আসা, খাদ্য ও সরবরাহ পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার জন্য উদ্যোগ এবং অসহায় গরীব মানুষকে সুরক্ষা দেওয়ার জন্য যেসব কার্যক্রম চলছে, তার প্রভাবে আগামী অর্থবছরে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আসবে বলে আমরা মনে করছি।'

এমপি আব্দুল লতিফের অপর এক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, 'মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে অর্থ মন্ত্রণালয় বিভিন্ন উদ্যোগ নিচ্ছে। মূল্যস্ফীতির চলমান সংকটের মূলে যে কারণগুলো রয়েছে তা হলো—বৈশ্বিক পণ্য বাজারে সরবরাহে অনিশ্চয়তা, মার্কিন ডলারের বিপরীতে টাকার মান কমে যাওয়া এবং দেশের বাজারে সরবরাহ শৃঙ্খলে ত্রুটি। অর্থনৈতিক এ সংকট কাটিয়ে দ্রব্যমূল্য সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে রাখার জন্য সরকার বহুমুখী উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।'

চট্টগ্রাম-১১ আসনের সরকার দলীয় এমপি এম আবদুল লতিফের প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, 'বর্তমানে বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি খাতে বিনিয়োগের সুযোগ সৃষ্টি হওয়ায় আমানতকারীরা এসব নানাবিধ স্কিম, ক্ষুদ্র শিল্পখাতসহ আয়-উৎসারী বিভিন্ন খাতে সরাসরি বিনিয়োগ করছেন। ফলে আস্থাহীনতা ও মূল্যস্ফীতির কারণে নয়, বরং বিবিধ বিনিয়োগ প্রকল্পগুলো আকর্ষণীয় হওয়ায় ও সরাসরি বিনিয়োগের সুযোগ সৃষ্টি হওয়ায় আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর আমানত কিছুটা কমেছে।'

 

Comments

The Daily Star  | English
KUET attack

Protests spill over to other campuses after Kuet attack

Anti-Discrimination Student Movement leaders issue ultimatum at DU; protests held at CU, JU, RU, and JnU

7h ago