খালেদা জিয়ার হৃদপিণ্ডে পেসমেকার বসানো সম্পন্ন, ৭২ ঘণ্টা পর্যবেক্ষণে
রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন খালেদা জিয়ার হৃদযন্ত্রে 'পেসমেকার' লাগানোর কাজ সম্পন্ন করেছে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক টিম।
আজ রোববার সন্ধ্যায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক এজেডএম জাহিদ হোসেন এ কথা জানান।
তিনি বলেন, 'ম্যাডামের হৃদরোগের সমস্যা আগে থেকেই ছিল। সেজন্য হার্টে ব্লক ছিল, একটা স্টেনটিংও করা ছিল। সব কিছু পর্যালোচনা করে মেডিকেল বোর্ড ম্যাডামের হার্টে পেসমেকার লাগানোর সিদ্ধান্ত নেয়। পেসমেকার লাগানো সম্পন্ন হয়েছে। তাকে এখন ৭২ ঘণ্টা নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।'
জাহিদ জানান, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার পরিবার ও বিএনপি এজন্য দেশবাসীর কাছে দোয়ার চেয়েছেন।
পেসমেকার হৃদযন্ত্রের নিয়মিত ছন্দে চলতে সাহায্য করে। যখন হৃদযন্ত্রের স্পন্দন ঠিকমতো চলছে কি না সেটাও এই যন্ত্র তদারকি করে।
চিকিৎসকরা জানান, হৃৎপিন্ডের ডান অ্যাট্রিয়াম প্রাচীরে উপর দিকে অবস্থিত বিশেষায়িত কার্ডিয়াক পেশিগুচ্ছে গঠিত ও স্বয়ংক্রিয় স্নায়ুতন্ত্রে নিয়ন্ত্রিত একটি ছোট অংশ যা বৈদ্যুতিক তরঙ্গ প্রবাহ ছড়িয়ে দিয়ে হৃৎস্পন্দন সৃষ্টি করে এবং স্পন্দনের ছন্দময়তা বজায় রাখে এই পেসমেকার।
জানা গেছে, দুপুর থেকে খালেদা জিয়ার হৃদপিণ্ডে পেসমেকার লাগানোর কাজ শুরু করে এভারকেয়ার হাসপাতালের চিকিৎসকরা।
হঠাৎ অসুস্থতার কারণে শুক্রবার গভীর রাতে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে অ্যাম্বুলেন্সে করে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হাসপাতালের ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটে চিকিৎসকদের নিবিড় পর্যবেক্ষণে চিকিৎসাধীন আছেন। গতকাল থেকে এই পর্যন্ত কয়েক দফা মেডিকেল বোর্ড বৈঠকে বসে সাবেক প্রধানমন্ত্রীর হৃদপিণ্ডে পেসমেকার লাগানোর সিদ্ধান্ত দেন।
হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে বিশেষজ্ঞ চিকিসকদের নিয়ে মেডিকেল বোর্ড বেগম জিয়া চিকিৎসাধীন আছেন।
বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে অধ্যাপক এফএম সিদ্দিকী, অধ্যাপক শামসুল আরেফিন, অধ্যাপক একিউএম মহসিনসহ মেডিকেল বোর্ডের সদস্যরা কয়েক দফা বৈঠকে বসে তার সর্বশেষ অবস্থা পর্যালোচনা করেছেন।
মেডিকেল বোর্ডের এসব সভায় লন্ডন থেকে ডা. জোবায়েদা রহমানসহ যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়ার কয়েকজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ভার্চুয়ালি যুক্ত থাকেন।
৭৯ বছর বয়সী খালেদা জিয়া ডায়াবেটিস, আর্থাইটিস ছাড়াও হৃদরোগ, ফুসফুস, লিভার, কিডনি, বিভিন্ন জটিল রোগে ভুগছেন।
Comments